প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩ ১৫:৩৩ পিএম
আওয়ামী লীগ সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের দাবিদার সরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তারা আরেকটি পাতানা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এইবার ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না। এইবার এসপার-ওসপার। স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকার, দেশ হবে জনতার, রুখতে হবে স্বৈরাচার। স্বৈরাচারের পতনে আরেকবার রক্ত ও জীবন দিতে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। সংগ্রামের মাধ্যমেই অতীতে আইয়ূব, ইয়াহিয়া, এরশাদ, ফখরুদ্দীন, মঈনুদ্দিনের পতন হয়েছে। এই সরকারকেও গণবিপ্লব করে বিদায় জানাতে হবে।’
আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতাসীন হতে বিদেশি মিত্রদের কাছে ধরনা দিচ্ছে উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার বিদেশিদের বাড়িতে বাড়িতে নৈশভোজ খাওয়া শুরু করেছে। আমাদের সোজা কথা, ক্ষমতায় থাকতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ আমরা মেনে নেব না। আগামীতে কে ক্ষমতায় আসবে, সেটি নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। বাংলাদেশে ভিনদেশী তাবেদার সরকার আসতে দেওয়া হবে না।’
স্বাধীনতার ৫২ বছরেও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সঠিক তালিকা করতে না পারা আওয়ামী লীগের ‘সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। রাশেদ খান বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছরেও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সঠিক তালিকা করতে না পারা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করলেও ৩০ লাখ শহীদের ত্যাগের প্রতি তাদের কোনো সম্মান নেই। যদি থাকতো তবে শহীদের তালিকা তৈরি করতো।’
রাশেদ খান বলেন,‘গণঅধিকার পরিষদ মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার বাস্তবায়ন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তরুণদের রক্ত ও সংগ্রামের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হলেও, জাতীয় সংসদে তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণের সুযোগ কম। তরুণদের সামনে এগিয়ে দিতে হবে, দেশকে দুর্নীতি, ঘুষ, গুম, খুন মুক্ত করতে হবে ‘
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, 'আমরা ১৯৭১ সালে খাতা কলমে স্বাধীনতা পেলেও প্রকৃত স্বাধীনতা এখনো পাইনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিলো সাম্য মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার। যার ছিটেফোঁটাও আজকের এই বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে পারেনি ক্ষমতাসীন দলগুলো।মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠাকেই গণঅধিকার পরিষদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে দেশের মানুষকে গণঅধিকার পরিষদের পাশে থাকার আহ্বান জানাই।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ফাহিম বলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক পাঠান আজহার, যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফুল্লাহ হায়দার, জিলু খান, সদস্য তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা জেলার আহ্বায়ক শওকত হোসেন।
এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান ও বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।