প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ২১:১৬ পিএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৩৮ পিএম
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের
নেতারা। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা। এক বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতারা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন আত্মনিয়োগ
করেছেন, সেই সময়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে একটি জাতীয় দৈনিক উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ
প্রকাশ করেছে। দৈনিকটি সাংবাদিকতার সকল রীতিনীতি ভঙ্গ করে ১০ বছরের একজন অবুঝ শিশুর
ছবির নিচে ক্যাপশনের পরিবর্তে ‘মাছ মাংস আর চালের স্বাধীনতা' শীর্ষক সংবাদে একজন
দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে তারা ৩০ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের
সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করেছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে
এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ছবি ও সংবাদ প্রকাশ পাঠকের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
শনিবার (১ এপ্রিল) সংবাদ
মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলোচিত সংবাদটি প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকতা এবং
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের সকল রীতি-নীতি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে উপেক্ষা করে পাঠকের সঙ্গে প্রতারণা করে অমার্জনীয় অপরাধ করা হয়েছে। উপরন্তু এ ধরনের অপরাধমূলক সংবাদ প্রকাশের
ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে নির্দিষ্ট
কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ কোনো কোনো মহল প্রচার করছে যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সংবাদ
প্রকাশ করায় সরকার কর্তৃক মাধ্যমের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। সুতরাং
এ ধরনের প্রতারণামূলক, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ সাংবাদিকতার মতো
সুমহান পেশার নামে অপসাংবাদিকতা এবং গর্হিত অপরাধ। পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ পত্রিকাটির
সাংবাদিকতার রীতিনীতি পরিপন্থি এ ধরনের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রকাশের তীব্র
নিন্দা জানাচ্ছে ও দোষীদের দৃষ্ঠান্তমূলক বিচারের দাবি জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশের
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পেশাজীবীসহ সকলকে রাষ্ট্র ও সংবিধানবিরোধী সকল অপতৎপরতার
বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের
নেতারা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বিচারপতি এ এফ এম মেসবাহ উদ্দিন, মহাসচিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, আইইবির সভাপতি প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুইয়া, হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুইয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক ওমর ফারুক, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক সোহেল হায়দার চৌধুরী, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আসাদুল হক, শিক্ষক নেত্রী অধ্যাপক মাহফুজা বেগম, বিএমএ'র মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপের মহাসচিব ডা. কামরুল আহসান মিলন, কেআইবির মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স, আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন শিবলু, বিএফইউজের মহাসচিব সাংবাদিক দীপ আজাদ, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের মহাসচিব প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন, প্রকৌশলী মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক হান্নানা বেগম, বাকবিশিস এর মহাসচিব অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক মিজানুর রহমান মজুমদার ও সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য।