প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩ ১৭:২৭ পিএম
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩ ১৮:০২ পিএম
বুধবার (৭ জুন) তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ছবি : পিআইডি
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত। এ বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগে আলোচনা হয়নি, এমনকি ১৪ দলেও আলোচনা হয়নি।
বুধবার (৭ জুন) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির ষড়যন্ত্র এবং দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে ১৪ দল আয়োজিত জনসভায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধি আসুক। আমরা আলোচনা করে দেখতে চাই, কীভাবে সবাই মিলে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়। সেটা একমাত্র আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা হতে পারে, অন্য কোনো পথে নয়।’
এ প্রসঙ্গ জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ’প্রথমত আমির হোসেন আমু আমাদের দলের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তার ব্যক্তিগত। তার এ বক্তব্য নিয়ে আমাদের দলের ও সরকারের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি ১৪ দলের মধ্যেও কোনো আলোচনা হয়নি।’
ড. হাছান বলেন, ’তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, কাগজ বা গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে তিনি ঠিক সেভাবে বলেননি। যেভাবেই আসুক, এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। দল, সরকার এমনকি ১৪ দল কোথাও এ নিয়ে আলোচনা হয়নি।’
তিনি বলেন, ’আমরা চাই নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক এবং সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিশ্বের কাছে উদাহরণস্বরূপ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, সেটি আমরা চাই।’
বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ’তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। তারা আসলে নির্বাচন প্রতিহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সেই কথাটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবার বলেছেন। কিন্তু এবার আর তাদের পক্ষে নির্বাচন প্রতিহত করা কিংবা বর্জন করা সম্ভব হবে না। দেশে অবশ্যই একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।’
তিনি বলেন, ’বিএনপি রাজনৈতিক দল, তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই পারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তা নয়, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচন ভণ্ডুল করে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা। কিন্তু নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণই হলো মুখ্য বিষয়। জনগণ যদি ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, তাহলে সেটিই হবে জনগণের অংশগ্রহণমূলক একটি ভালো নির্বাচন।’