তারেক-জোবাইদার কারাদণ্ড
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১৮:১৩ পিএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২০ পিএম
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের করা মামলায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিচারের রায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার এই মামলা করেনি। বিএনপির পছন্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকারই এই মামলা করেছিল। আমাদের সরকার যদি প্রতিহিংসাপরায়ণ হতো তাহলে আমরা মামলা করতাম। আর রায়ের জন্যও ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হতো না। অনেক আগেই রায় হতো।’
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘রায়ের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। আজকে এবং আগামীকালও তাদের কর্মসূচি আছে। কিন্তু আমাদের সরকারের আমলে এই মামলা হয়নি। এই মামলা হয়েছে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যখন ইয়াজউদ্দিন সাহেবকে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। আর বিশ্বব্যাংকে কর্মরত ফখরুদ্দীন সাহেবকে ধরে এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আর সেই সেনাসমর্থিত সরকারের সেনাবাহিনীর প্রধান বানানো হয়েছিল ৭ জনকে ডিঙিয়ে। তাদের পছন্দের মানুষরাই যখন ক্ষমতায়, তখন এই মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় তাদের শাস্তি হয়েছে।’
রায় নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আইন-আদালত কোনো কিছুর ওপরই তো বিএনপির কোনো আস্থা নেই। কোনো কিছুকে তারা তোয়াক্কা করে না। শুধু ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে যায়। আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না। বিদেশিরা প্রয়োজনে আমাদের কাছে আসে।’
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।’
বুধবার রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার জনসভা প্রকৃত অর্থে স্মরণকালের বিশাল জনসমুদ্রের রূপ নিয়েছিল। এতেই প্রমাণিত হয়, দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে কতটুকু ভালোবাসে, এতেই প্রমাণিত হয় শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ওপর দেশের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস, সমর্থন আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রংপুর শহরে জিলা স্কুল মাঠে জনসভার ডাক দিয়েছিলাম কিন্তু কার্যত পুরো রংপুর শহরই জনসভাস্থলে রূপান্তরিত হয়। হুইলচেয়ারে বসে ৯৬ বছর বয়সি ভাষাসৈনিক মুক্তিযোদ্ধা, বৃদ্ধ নারীসহ লাখ লাখ মানুষ সেখানে যোগদান করে। মাঠের বাইরে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটারব্যাপী জনসভাস্থলের চেয়ে অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ ছিল। শেখ হাসিনাকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য মানুষের মধ্যে যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা আমরা দেখতে পেয়েছি, তাতে আমরা অভিভূত হয়েছি।’