প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৩১ পিএম
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। প্রবা ফটো
যুবলীগ
চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিএনপি-জামায়াতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী
নয়, তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এদেশের জনগণ। এ কারণে বারবার বিএনপি-জামায়াত এদেশের
মানুষকে ভিকটিম বানায়, তাদের ওপরেই আঘাত করে, অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষকে হত্যা
করে।
বিএনপি-জামায়াত
জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৭
আগস্ট) যুবলীগের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কালো পতাকা প্রদর্শন
কর্মসূচি অনুষ্ঠিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ
পরশ বলেন, ১৫ আগস্টের মূল মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য বিএনপি
প্রতিষ্ঠা করে। রাষ্ট্রপতিকে যারা সপরিবারে হত্যা করে, নারী ও শিশুদেরকে যারা রক্ষা
দেয় নাই তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে।
তিনি
বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট তারা দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা করেছ, ২০০১-২০০৫
সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ভয়-ভীতি প্রদর্শন, সন্ত্রাস,
ষড়যন্ত্র এইগুলোই বিএনপির রাজনীতির অস্ত্র, রাজনৈতিক কৌশল। এর বাইরে তারা আর কোনো কৌশল
জানে না। তারা আজও সেই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা অরাজকতা সৃষ্টি করে বিদেশীদের মাধ্যমে
পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, যারা অসাম্প্রদায়িক
বাংলাদেশ গড়তে চায়, তারা শেখ হাসিনার সাথে আছে, উন্নয়নের সাথে আছে।
সঞ্চালকের
বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী,
মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ
মদদে দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। ষড়যন্ত্রকারী বিএনপি-জামায়াত
আবারও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মিলিয়েছে যেন কোনভাবেই আগামী ২৪ সালের
নির্বাচন না হয়। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোসহীন এবং ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্রের
জবাব রাজপথে দেবে যুবলীগ।
এ
সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. মোয়াজ্জেম
হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর
রহমান সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল
করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।