প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৪:১৪ পিএম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৬:৫৩ পিএম
রাজধানীর লালবাগ থেকে গ্রেপ্তার ছাত্রদলের ছয় নেতা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন বলে দাবি করেছেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) খোন্দকার নুরুন্নবী। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করেন বলেও জানান তিনি।
রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় এক নেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এমন খবরে তাকে খুঁজতে বের হয়ে আরও পাঁচ নেতার হদিস মিলছিল না বলে গতকাল অভিযোগ করে বিএনপি। শনিবার দিনভর এ নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ছিলেন বিএনপি নেতারা। প্রথমে তাদের তুলে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও গতকাল রাতে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানায় ডিবি।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম ওরফে জিসান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. হাসানুর রহমান হাসান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আর রিয়াদ।
সংবাদ সম্মেলনে খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম লালবাগ থানাধীন একটি বাসায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে গতকাল তিনটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ ছয়জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে।’
বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে গ্রেপ্তার ছাত্রদলের নেতারা সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানান, বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় শাখাগুলো রাজপথে শক্তির মহড়া দিতে অস্ত্র বহন করছে। এর মাধ্যমে তারা জনমনে ভীতি এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়। সরকারকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।’
খন্দকার নুরুন্নবী দাবি করেন, ‘গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে আমরা কয়েকটি মোবাইল জব্দ করেছি। তাদের মোবাইলেও বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উদ্ধার করা অস্ত্রের ছবিও মোবাইলে পাওয়া গেছে। অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি অস্ত্র টেকনাফ থেকে সংগ্রহ করেন তারা। আরেকটি অস্ত্র পাবনা থেকে সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন। যাদের কাছে থেকে তারা অস্ত্র সংগ্রহ করেছেন তাদের নাম-ঠিকানাও আমরা পেয়েছি। তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।’
ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা আগামী নির্বাচনে সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে এই অস্ত্র সংগ্রহ করেন। তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। আজ আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। এতে আরও অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’