প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৭:১২ পিএম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৪৬ পিএম
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী ও হামলার পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। প্রবা ফটো
তারেক
রহমানের নেতৃত্বে ও খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটানো হয় বলে মন্তব্য
করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
হাছান
মাহমুদ বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা বিএনপি সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে।
তারেক জিয়ার নেতৃত্বে ও খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় এ ঘটনা ঘটানো হয়। ১৫ আগস্টের ঘটনায়
দায়ী ছিল খন্দকার মোশতাক ও জিয়া। আর ২১ আগস্টের জন্য দায়ী তারেক ও খালেদা।
রবিবার
(২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী ও হামলার পরিকল্পনাকারীদের
দ্রুত বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। গণতন্ত্র
যোদ্ধা ২১ আগস্ট বাংলাদেশ (আহত-নিহত পরিবারের কেন্দ্রীয় সংগঠন) এর উদ্যোগে
আয়োজন করা হয় এই আলোচনা সভা।
হাছান
মাহমুদ বলেন, ২১ আগস্ট আমরা প্রথমে মুক্তাঙ্গনে শান্তি সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু
সেখানে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে ২০ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর অফিসের সামনে সমাবেশ
করার অনুমতি দেওয়া হয়। এটা ছিল মূলত বিএনপির পরিকল্পনা। কারণ মুক্তাঙ্গন ছিল খোলামেলা
জায়গা। অপরদিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ খোলামেলা নয়, গ্রেনেড ছোড়া তাতে সহজ ছিল। তা না হলে
কেন মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো না? কেন সে সমাবেশে পুলিশ দেওয়া হলো
না? হামলার পর কোনো পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি। হামলার পর নেতাকর্মীরা যখন এগিয়ে
আসে, তখন তাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়, পানি দিয়ে অ্যাভিডেন্স পর্যন্ত ধুয়ে ফেলা
হয়।
তথ্যমন্ত্রী
বলেন, হামলার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, মোসাদ নাকি এসে
এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এরপর তো জজ মিয়া নাটক সাজানো হলো।
তিনি
আরও বলেন, বিএনপি হত্যার রাজনীতিতে চলে ও বিশ্বাস করে। তারা এখন বিদেশিদের কাছে ধর্না
দিচ্ছে। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। কয়েকটা বিবৃতিও এনেছিল। এই হাতে-পায়ে ধরে আর
লাভ নাই, কয়েকটা বিবৃতি দিয়ে কিছু হবে না। তাদের বলতে চাই, হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি
থেকে সরে আসুন।
হাছান
মাহমুদ বলেন, ক্ষমতায় কে থাকবে কে থাকবে না, তার সিদ্ধান্ত নিবে দেশের মানুষ। আঘাত
পেলে আওয়ামী লীগ আরও সংগঠিত হয়, ঘুরে দাঁড়ায়। আমরা ভাঙব, কিন্তু মচকাব না।
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকি বলেন, আমি
শুধু বলতে চাই ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। আওয়ামী লীগ যখন শান্তি সমাবেশ
করেছিল তখন তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। আজকে এখানে যারা বসা রয়েছে সবার শরীরে
গ্রেনেডের স্প্রিন্টার রয়েছে। এই স্প্রিন্টার নিয়ে চলা কত কষ্টের এটা শুধু তারাই জানে।
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও গণতন্ত্র যোদ্ধা ২১ আগস্ট বাংলাদেশের সভাপতি
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী
লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে
আলম মুরাদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসিমা ফেরদৌসী প্রমুখ।