প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১১:০৭ এএম
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১১:১৬ এএম
বিএনপির আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) এসব সমাবেশে জনগণের সম্মেলন ঘটেনি, অংশগ্রহণ ঘটেনি। জনগণ ছাড়া গণআন্দোলন কেমন করে হবে? জনগণ ছিল না, নেতাকর্মীদের আন্দোলন।’
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকালে আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ দেশে আন্দোলনের বস্তুগত কোনো পরিস্থিতি বিরাজমান নেই। আন্দোলনের জন্য দুটি বিষয় লাগে। একটি অবজেকটিভ, আরেকটি সাবজেকটিক। তাদের অবজেকটিভ কন্ডিশনও নেই, সাবজেকটিভ প্রিপারেশনও নেই। তাদের আন্দোলনে নেতারা হতাশ। ক্ষমতায় আসার মুলা ঝুলিয়ে নেতাকর্মীদের জোর করেছিল।’
বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল লক্ষ্য ছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একুশে আগস্টের হত্যাকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশে ’৭৫-এ শুরু হওয়া হত্যাকাণ্ড ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারাবাহিকতা। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মূল টার্গেট বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করা, বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে শুরু করে ৩ নভেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট একসূত্রে গাঁথা। হরকাতুল জিহাদ, কিলিং এজেন্ট; তাদের কাছে তারেক রহমানের পরিষ্কার নির্দেশ ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। সেদিনের প্রাইম টার্গেট ছিল শেখ হাসিনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের ইতিহাস কত নির্মম। পার্লামেন্টে তৎকালীন সময়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী যখন প্রসঙ্গটি তুলছিলেন, তখন বেগম জিয়া বলেছিলেন, উনাকে (শেখ হাসিনা) আবার কে মারতে যাবে? উনি তো ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছে। একুশে আগস্ট ঘটনাকে নিয়ে এই উপহাস করেছিলেন। জজ মিয়ার নাটক আরও নির্মম। সেটা আরেক প্রহসন।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এটা হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। গণতন্ত্রের জন্য যারা আজকে মায়াকান্না করে তাদের রাজনীতি ষড়যন্ত্র ও হত্যার। আজকে আমরা একটা কথা বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, এই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, যারা আজ গণতন্ত্রের নামে কান্নাকাটি করছে তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির সহাবস্থানের কোনো সুযোগ আছে কি না?’