× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সাইবার নিরাপত্তা আইন সরকারের ক্ষমতায় থাকার নতুন মোড়ক : গণতন্ত্র মঞ্চ

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৩৬ পিএম

আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫৬ পিএম

জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত  আলোচনা সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বক্তব্য দেন। প্রবা ফটো

জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বক্তব্য দেন। প্রবা ফটো

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মোড়ক বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন হয়েছে। এর মাধ্যমে বিরোধী মত দমন করে সরকার আবারও ক্ষমতায় যেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন সরকার পতনের দাবিতে গঠিত গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন: বাকস্বাধীনতা হরণের নয়া হাতিয়ার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নেতারা। 

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্বে আলোচনা অংশ নেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।

সাইফুল হক বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চেয়েছিলাম। সরকার আইনটি বাতিল না করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে। সরকার যদিও বলছে, তারা আইনটি রোহিত করেছে। কিন্তু আসলে আইনটির পোশাক পরিবর্তন করা হয়েছে কিন্তু ভেরতকার জিনিস একই রকম আছে।’ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থেকে সাইবার নিরাপত্তা আইনের পার্থক্য হচ্ছে প্রেস ক্লাবের দোতলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত। সাইবার নিরাপত্তা আইনের ধারাগুলো স্পষ্ট করা হয়নি। কার জন্য এই সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে? সরকার নিজের নিরাপত্তার জন্য আইনটি করেছে। সেমিনার করে আন্দোলন হবে না, রাস্তায় নামতে হবে। মানুষ পরিবর্তন চায়। সঠিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামতে হবে।’

সরকার ক্ষমতায় থাকতেই সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে মন্তব্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার পুরোনো ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনকেই নতুন লেভেল লাগিয়ে হাজির করেছে। মূল বিষয়গুলো একই রেখেছে। তারা এদেশের ১৮ কোটি মানুষ ও বিশ্বকে বোকা ভাবে। তারা যেভাবে শাসনকার্য চালাচ্ছে এই আইনটা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সে কারণে তারা এ আইনটা কোনো অবস্থাতেই বাতিল করবে না।’

সভাপতির বক্তব্যে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘গত ১৫ বছর যাবত সরকার সাংঘাতিকভাবে উচ্চ আদালতে ব্যবহার করছে। উচ্চ আদালত মানুষের রাজনৈতিক অধিকারের বিপরীতে সবচেয়ে বড় নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এই ধরনের নিপড়নের মধ্যে দিয়ে সরকার আসলে দেশের বিচার ব্যবস্থা, আইন ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’ 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাজাপ্রাপ্ত পাঁচজন ভুক্তভোগী মধ্যে রাঙ্গামাটির নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, ‘আসলে আমার অপরাধ আমি একটি অনলাইন পোর্টালের কর্ণধার ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য। সে কারণে ২০১৭ সালে আমি ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আমার সন্তানকেও সাজা খাটতে হয়েছে।’

ভুক্তভোগীদের আরেকজন রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের অর্থ সম্পাদক দিদারুল ভূঁইয়া। তার অভিজ্ঞতার বর্ননায় তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার শুনানি পর্যন্ত কেউ করতে রাজি হননি। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগও করা হয়নি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ১০ মাস কারা ভোগরত অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন লেখক মুশতাক আহমেদ। তাকে আসলে খুন করা হয়েছে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা