প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:০৪ পিএম
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:১৩ পিএম
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন নেতারা। প্রবা ফটো
আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার পাঁয়তারা করছে বলে দাবি করেছেন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদউজ্জামান ফরহাদ।
তিনি বলেছেন, ‘২০১৪, ২০১৮ আর ২০২৪ এক নয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। এটা দেশবাসীরও দাবি। এই দাবিতে গণতন্ত্রগামী সব বিরোধী দল রাজপথে নেমেছে, জনগণও জেগে উঠেছে। তারা আর এ দেশে কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না। সুতরাং এই সরকার অবশ্যই পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। বিএনপিকে বাদ দিয়ে এ দেশে আগামীতে কোনো নির্বাচন হবে না।’
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়সংলগ্ন আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এক দফার যুগপৎ আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারকে অবিলম্বে এক দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ’অন্যথায় জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করবে। তখন ক্ষমতাসীনরা পালানোর পথ পাবে না।’
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক বলেন, ’ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও বাস্তবে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ১৯৭৫ সালে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিল। এরপর ১৯৭৮ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন। আওয়ামী লীগ সর্বশেষ ২০১৪ সালে এক তরফা প্রহসনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে আবারও হত্যা করেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিএনপির নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন করছি।‘
অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাশাপাশি কারাবন্দি আলেম-ওলামাসহ গণতন্ত্রকামী সবার মুক্তি দাবি করেন তিনি।
ড. ফরহাদ বলেন, ’যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট দাবি আদায় ছাড়া রাজপথ ছাড়বে না।’
এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাত, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মণ্ডল, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, জাগপার কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, ’আজকে গণতন্ত্র ধ্বংস করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু হামলা-মামলা, অত্যাচার-নির্যাতন করে লাভ হবে না। এই সরকারকে যেতেই হবে। কারণ এদের পতনের জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে।’ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আগামীতে আর কোনো নির্বাচন হবে না বলে দাবি করেন তিনি।
সরকারপ্রধানের উদ্দেশে এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, ’অবিলম্বে গণদাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নইলে একটা পর্যায়ে গিয়ে আপনার পাশে কেউ থাকবে না।’
সুকৃতি কুমার মণ্ডল বলেন, ’ক্ষমতায় থাকতে যতই ছল-চাতুরি করুক না কেন, এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। তাদের অবশ্যই গণদাবি মানতে হবে।’