প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:০২ পিএম
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:২৩ পিএম
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। প্রবা ফটো
আদিলুর রহমান টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে বিদেশিদের বিভ্রান্ত করেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ’তিনি হেফাজত নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। কিছু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কিছু লবিষ্ট, বিএনপি-জামায়াত ধর্মান্ধদের টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দেয়। তাদের মতো আদিলুর রহমান টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে বিদেশিদের বিভ্রান্ত করেন।’
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আহ্বান জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিএনপির ভাষায় আরেকটি রেজল্যুশন তারা নিয়েছে। আপনারা বাংলাদেশে টিম পাঠান। আপনারা বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার নাই, কথা বলার অধিকার নাই, মানবাধিকার হুমকির মুখে। মানবাধিকার কি শুধু মিথ্যাচার করা? আপনারা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশের দুই ভাগের এক ভাগ সংখ্যালঘু যদি বলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের নিরাপত্তা দেয় নাই, তারা সবচেয়ে ভালো অবস্থানে নাই, আমরা এ দেশে সরকারে থাকব না।’
সংখ্যালঘু ভোটের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এমপি হিসেবে বলছি, এ দেশে হিন্দু, খ্রিস্টান, গারো, চাকমা সংখ্যালঘুদের ৯৯ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। আওয়ামী লীগের পক্ষে তাদের অধিকার সবচেয়ে বেশি থাকে। নাগরিক হিসেবে সবচেয়ে বেশি অধিকার ভোগ করে।’
হেফাজত সমাবেশ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে হেফাজত সমাবেশ করেছিল। আমি সেদিন খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম। খুব কাছে থেকে দেখেছি, তাদের খুব অনুরোধ করেছিলাম সমাবেশ শেষ করতে। সন্ধ্যার দিকে সরকারের কাছে খবর এলো তারা সমাবেশ থেকে উঠে যাবে না। রাতের মধ্যে তারা গণভবন ঘেরাও, সচিবালয় ঘেরাও করে সরকারের পতন ঘটাবে।’
রাত আটটার দিকে কী দেখেছিলাম? খালেদা জিয়া বিবৃতি দিয়ে জানালো বিএনপির নেতাদের হেফাজতের পাশে দাঁড়াতে। এরশাদ ফ্রিজের ঠান্ডা পানি নিয়ে হেফাজতের পাশে দাঁড়ালেন। খাবার নিয়ে দাঁড়ালেন। সারা দেশ আতঙ্কগ্রস্ত। গণভবন ঘেরাও হবে কি না? সচিবালয় ঘেরাও হবে কি না? হেফাজতের প্রধানমন্ত্রী হবেন? নাকি বিএনপির কাছে ক্ষমতা দেবে। এমন এক পরিস্থিতি। আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই, রাত তিনটার মধ্যে শাপলা চত্বর পরিষ্কার করা হয়েছিল। সেখানে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিল ঢাকা মহানগরের নেতারা।’
হেফাজতের সমাবেশে নিহতের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘হেফাজতের সেই সমাবেশে ৬১ জন মানুষ মারা গেছে। এর চাইতে বড় মিথ্যাচার আর কী হতে পারে? সে মিথ্যাবাদীর যদি বিচার হয়, আইনে সেটা কি অন্যায়?’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি একটানা আন্দোলন-সংগ্রাম করছে। একই দাবি নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে শুরু করেছে। শেখ হাসিনা পালানোর পথ পাবে না, একই কথা বারবার বলছে। শেখ হাসিনার পতন না হলে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু তারা সফল হয়নি।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশ আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।