বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৪১ পিএম
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:২৯ পিএম
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। প্রবা ফটো
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘দেশে বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে, একইসাথে বৈষম্যের ধারাও অব্যহত রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুই পক্ষ। একপক্ষ মহা হত্যাযজ্ঞের দুষ্কৃতীকারী রাজাকাররা, আরেক পক্ষ জনগণ এবং মুক্তিযোদ্ধারা। যারা মিটমাটের কথা বলে, তারা মহা দুষ্কর্মকে স্বীকার করে নেয়, যারা মিটমাটের কথা বলে তারা হত্যাযজ্ঞকে জায়েজ করতে চায়, যারা মিটমাটের কথা বলে, তারা বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে চায়।’
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় যুব জোটের তৃতীয় কংগ্রেসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকনের সভাপতিত্বে কংগ্রেসে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য জাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও সহসভাপতি আফরোজা হক রীনা প্রমুখ।
দুই পক্ষের কথা উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, একাত্তর-পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা বাংলাদেশে অমোচনীয় একটা বিভক্তির রেখা টেনে দেয়। এক পক্ষের মহা হত্যাযজ্ঞের দুষ্কৃতীকারী রাজাকাররা, আরেক পক্ষে জনগণ এবং মুক্তিযোদ্ধারা। একপক্ষে পঁচাত্তরের হত্যাযজ্ঞের খুনিরা, আরেকপক্ষে মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রের শরীকরা। একাত্তর-পঁচাত্তর, একুশে আগস্টের যে রেখা, সেই রেখা দুই পক্ষ তৈরি করে দিয়েছে- একপক্ষ খুনী, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদীরা, আরেক পক্ষে গণতন্ত্রীরা, মুক্তিযোদ্ধারা, সমাজতন্ত্রীরা। আজ এই পরিস্থিতিতে এই দুই পক্ষের মিটমাটের যারা কথা বলে তারা কার্যত একাত্তরের খুনীদের পক্ষাবলম্বন করে। তাই আপনি কোন পক্ষে আন্দোলন করবেন, সেটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখানে মাঝামাঝি কোনো পক্ষ নাই।
ইনু বলেন, সমতার সমাজ, মর্যাদার সমাজ, মানবিক সমাজ ও জলবায়ুবান্ধব সমাজ গড়তে সমাজতন্ত্র ছাড়া আর কোনো পথ নাই। তাই সমাজতন্ত্রের ঝান্ডা হাতে আপনারা সমস্যা মোকাবেলা করবেন, সমাজকে সামনে নিয়ে যাবেন। যুবকরা লড়বে, নতুন পৃথিবী গড়বে। যুবরা লড়বে সমাজতন্ত্রের ঝান্ডা হাতে লড়াই চালাবে। সমাজতন্ত্রই একমাত্র পথ যে পথে হাঁটলে সামপ্রদায়িকতা, উপনিবেশবাদ, পুঁজিবাদ, বৈষম্য ও দলবাজিকেও মোকাবিলা করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রায় ১৫ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িকতা ও সামরিক শাসনের ধারা থেকে সংবিধানের ধারায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় ফেরত আসার লড়াই অব্যাহত রেখেছে। এক নতুন পর্বে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। আজকের বৈরী পরিস্থিতিতে আমরা মনে করি আমাদের পরিবর্তনের ধারা ধরে রাখতে হবে একইসাথে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদেরকে আরো একধাপ উন্নতি করতে সন্ত্রাস দুর্নীতির ধারাকে ধ্বংস করে সুশাসনের ধারা অর্জন করতে হবে।