প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:১০ পিএম
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৩ পিএম
সরকার ‘একতরফা’ ও ‘তামাশা’র নির্বাচন শুরু করেছে মন্তব্য করে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতারা বলেছেন, ‘দেশের জনগণ এ নির্বাচন মানে না।’ তাই সংকট সমাধানে নির্বাচন বন্ধ করে সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ৭ জানুয়ারির ‘ভোট বর্জনে’ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা এ আহ্বান জানান।
সংগঠনটির নেতা রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে। একসাগর রক্তের বিনিময়ে যে দেশটি আমরা সবাই মিলে স্বাধীন করলাম গণতন্ত্রের জন্য, মানবাধিকারের জন্য, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য; আজকে সেই দেশে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হয়। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে?’
গত দুটি সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনি ২০১৪-এ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভোট করলেন, ২০১৮-তে রাতে ভোট করলেন। এখন আবার তামাশার নির্বাচন শুরু করেছেন, ডামি নির্বাচন শুরু করেছেন; যে নির্বাচন কেউ মানে না। বাংলাদেশের জনগণ এ নির্বাচন মানে না।’
রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে রুহুল আমিন গাজী আরও বলেন, ‘আমরা সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলতে চাই—এ নির্বাচনী খেলা বন্ধ করেন, তফসিল-ভোট বন্ধ করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। একটি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন।’
‘অন্যথায় এ নির্বাচন করার … আপনি যদি মনে করেন চিরস্থায়ী আরেকটি বাকশাল শাসন কায়েম করবেন, তা দুঃস্বপ্ন হবে। তা কখনও বাংলাদেশে কায়েম হবে না,’ যোগ করেন তিনি।
এ দেশের মানুষ স্বাধীনতাকামী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষ গণতন্ত্রের পূজারি, এ দেশের মানুষ কখনও পরাধীনতা মেনে নেয়নি, নেবেও না।’
রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যাপক শামসুল আলম, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ।