প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫৫ পিএম
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৭ পিএম
জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। প্রবা ফটো
জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশের উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, ‘আজকে বাংলাদেশ কৃষি, তৈরি পোশাক, প্রবাসী আয়- এই তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, যার ভিত্তি রচনা করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি দেশের উন্নয়নে গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। কৃষির সমৃদ্ধির জন্য তিনি খাল ও নদী পুনঃখনন ও গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করেছেন। উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি নানামুখী প্রকল্প নিয়েছিলেন। এভাবে দেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়, এমনকি গিনিতেও চাল রপ্তানি করা হয়েছিল। বাংলাদেশের উন্নয়নের শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই।’
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘শহীদ জিয়া ও বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি শুরু করেছিলেন। তিনি পল্লীবিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অথচ এই দেশে একসময় মানুষ ডাস্টবিনে পশুর সঙ্গে খাবার খেত। কারখানাগুলো বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু এক শিফটের পরিবর্তে দুই শিফটে কাজ শুরু করান জিয়াউর রহমান। তিনি সব কলকারখানা পর্যায়ক্রমে চালুর মাধ্যমে অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান। অর্থাৎ জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তি ছিলেন। তিনি অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু তাকে দেশের জনগণের হৃদয় থেকে মুছে ফেলার চক্রান্ত হয়েছে, এখনও হচ্ছে।’
জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন সময় কাজ করার ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘আজকে ক্ষমতাসীন সরকারের উচিত জিয়াউর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা। কিন্তু তারা নির্লজ্জের মতো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করছে। ঋণ দিয়ে তিনি গার্মেন্টস শিল্প চালু করেছিলেন। বেকারত্ব দূর করতে নানা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্যে ১৬ হাজার কর্মী পাঠিয়ে তিনি প্রথম প্রবাসী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছিলেন।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘বিএনপি এখনও মর্যাদা ও শক্তিমত্তার সঙ্গে টিকে আছে। ক্রমান্বয়ে এর কলেবর বাড়ছে। এটাই শহীদ জিয়াউর রহমানের কৃতিত্ব। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি যিনি পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম বলেছিলেন- ‘উই রিভোল্ট’। তার ঘোষণায় দেশের মানুষ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছেন মেজর জিয়ার নেতৃত্বে চট্টগ্রামে যে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল সেটি স্ট্যালিন গ্রাডের প্রতিরোধের মতো।”
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ডা. আশফাক নবী কনকের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন—সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, ড্যাবের মহাসচিব আবদুস সালাম, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড রিয়াজ উদ্দিন নসু, ড্যাবের সহসভাপতি ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. শহীদুল আলম, ডা. শহীদুর রহমান, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, যুগ্ম মহাসচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা সিদ্দিকা, অ্যামট্যাবের দবির উদ্দিন তুষার, ডা. এমএ কামাল, ডা. জাহানারা লাইজু প্রমুখ। এ ছাড়া ড্যাব নেতা ডা. আদনান হাসান মাসুদ, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. রুস্তম আলী মধু, ডা. এনামুল হক এনাম, ডা. বাসেদুর রহমান সোহেল, ডা. ইব্রাহিম রহমান বাবু, ডা. এম শাহিন, ডা. হুমায়ুন কবির প্রিন্স, ডা. নাভিদ মোস্তাক, ডা. তানজিম রুবাইয়্যাত আফিফ, ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম তারিকসহ শতাধিক চিকিৎসক সভায় উপস্থিত ছিলেন।