প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:১৮ পিএম
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৯ পিএম
রাজধানীর নয়াপল্টনে শীতবস্ত্র বিতরণকালে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহল কবির রিজভী। প্রবা ফটো
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজভী বলেছেন, 'অবৈধ সরকার ছাত্রলীগকে এক কুৎসিত সংগঠনে পরিণত করেছে। তারা নারীর শ্লীলতাহানিকে অবাধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের কথা বললে, মিছিল বের করলে, তাদের ধরে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। এ কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আজ জেলে। আর যুবলীগ ছাত্রলীগ ক্যাসিনো খুলবে, নারীদের নিজেদের সম্পত্তি মনে করবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে তারপরও কী প্রধানমন্ত্রী আপনার টনক নড়েনি? তাদের দিয়ে আপনি বিশ্বজিৎকে হত্যা করেছেন, আবরারকে হত্যা করিয়েছেন। আর এই কারণে তারা আস্কারা পেয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছে। এদের কাছে কোনো নারী শিশু সাধারণ জনগণের কোনো নিরাপত্তা নেই।’
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়া পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ দেশের মধ্যে ইন্টার্নাল নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি করেছে, তার নাম ছাত্রলীগ। তাদের অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে যে, তোমরা যা ইচ্ছা তাই করো কিন্তু বিএনপি যুবদল ছাত্রদলের মিছিল দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে। বেআইনি অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করবে এই লাইসেন্স তাদের দেওয়া হয়েছে।‘
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে ভয় পান শেখ হাসিনা। কিন্তু ছাত্রলীগ নারী নির্যাতন করলে তিনি কোনো কথা বলেন না। ২০২০ সালে সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে নির্যাতন করা হয়েছে, তার কোনো বিচার হয়নি কারণ কোর্ট তাদের, পুলিশ তাদের। তাদের বিচার হবে কেন?
বক্তব্যে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘আমরা এখন দেখছি, দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি দিয়ে মিয়ানমারের মর্টার শেলে বাংলাদেশের জনগণ মারা যাচ্ছে কিন্তু তারা একটি বিবৃতি দেয়নি। একটু প্রতিবাদও করে না প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ মাথা তো আগেই বিক্রি করে দিয়েছে, যারা মাথা বিক্রি করে তারা কিছুই বলতে পারে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার অন্যায় অত্যাচারের কারণেই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্র ফিরে এলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার হবে।’
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আব্দুল কুদ্দুস, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ওমর ফারুক কাওসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।