প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:০৯ পিএম
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৫৫ পিএম
কারামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সোমবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে। প্রবা ফটো
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় পর জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। কারামুক্তির পর চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে বাইরে আসেন মির্জা আব্বাস। এ সময় নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। ‘মির্জা আব্বাস ভাইয়ের ভয় নাই, আমরা আছি তোমার সাথে, মির্জা আব্বাসের ভাইয়ের মুক্তি আন্দোলনের শক্তি’… স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
এ সময় নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র ফেরানোর মুক্তির আন্দোলন চলবে।’
কারাগারে চিকিৎসার অপ্রতুলতার কারণে নেতাকর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে অভিযোগ করে তাদের সুচিকিৎসার দাবি জানান তিনি।
মির্জা আব্বাসকে বাসায় নেওয়ার জন্য কারাফটকে আসেন তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। এ সময় কারাফটকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী।
২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়েছিল। সবগুলো মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। সবশেষ সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার রেলওয়ে থানায় মামলার জামিন পান তিনি।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান, সবকটি মামলায় জামিন হওয়ার পর বিকালে জামিননামা কারাগারে পোঁছায়। এরপরই মির্জা আব্বাস মুক্তি পান।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এ সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এ ছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক ও শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন।
সমাবেশ থেকেই পরদিন ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। দুই দিন পর ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।