প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪ ১৬:০৬ পিএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪ ১৬:৩১ পিএম
বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশে কথা বলেন রিজভী। প্রবা ফটো
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজকের রাজনীতিতে সবচেয়ে সমাদৃত শব্দ ভারতীয় পণ্য বর্জন। এই পণ্য বর্জন এক দিনে সৃষ্টি হয়নি। দীর্ঘদিনের অপমান, বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের সমর্থন দিয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এ বর্জনের আহ্বান জানালেও আজ তা সর্ব মহলে সমাদৃত।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘আজকে ভারত বন্ধুত্বের কথা বলে। অথচ, পানির ন্যায্য হিসাব দেয় না, বন্ধুত্বের কথা বলে প্রতিনিয়ত সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা করা হচ্ছে। এসব অন্যায় ও অবিচারের কারণে বাংলাদেশিদের প্রতিবাদী করে তুলেছে। বাংলাদেশের বাজার বাণিজ্যে তারা একতরফা আদিপত্য বজায় রেখেছে দীর্ঘদিন। তারা বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র মনে করলে ভারসাম্যমূলক বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক অবকাঠামো গড়ে তুলত। ভারত কখনই ব্যবসায়িক নীতি মানেনি।’
তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে। দেশ কীভাবে চলবে তা নির্ধারণ করবে জনগণ। দেশবাসীই ভোটের মাধ্যমে ঠিক করবে কে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আর এই অবৈধ সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ভারতের নীতিনির্ধারকেরা। এ কারণেই বাংলাদেশের জনগণ ভারতের বিরুদ্ধে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৭২ সালে ভারত যখন ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে তখন থেকেই মওলানা ভাসানী এর প্রতিবাদ করেন। সব বাম রাজনৈতিক দলগুলোও এর বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার। তৎকালীন জাসদও সে সময় ভারতের এই নীতির জন্য প্রকাশ্যে রাজপথে ছিলেন। বড়ভাই সুলভ আচরণের জন্য ভারতকে আধিপত্যবাদী শক্তি বলে আখ্যা দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো।’