প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪ ২২:২৭ পিএম
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি : সংগৃহীত
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিন সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলের এমন অবস্থানের কথা জানান তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, ‘আজকে ৫৩ বছর পর দেখছি, যে কারণে আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি সেই কারণটি এখনও বলবৎ। অর্থাৎ এখনও গণতন্ত্র নাই, মানুষের মৌলিক অধিকার নাই, এখনও মানুষের বাকস্বাধীনতা নাই, এখনও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখনও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। লুটতরাজ লুণ্ঠনের মধ্য দিয়ে জাতীয় অর্থনীতি অর্থাৎ জাতির অর্থনীতির কোষাগার আজকে খালি হয়ে গেছে এবং আকাশচুম্বি জিনিসপত্রের দামে আজকে মানুষ দিশেহারা।’
তিনি বলেন, ‘এই মহান দিনে আমরা এখানে এসেছি যার ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো সেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পূর্ণ প্রবর্তক এবং যিনি আধুনিক বাংলাদেশ, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে। তার আত্মার জন্য দোয়া করতে। আজকে এই প্রাঙ্গণ থেকে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, আমাদের আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র যতক্ষণ পর্যন্ত অর্জিত না হবে, ততক্ষণ আমাদের লড়াই চলবে, লড়াই চলতে থাকবে।’
সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির নেতাকর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আবদুল মঈন খান জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তারা প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অ্যাডভোকেট মাসুম আহমেদ তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, রফিক শিকদার, এসএম জাহাঙ্গীর, রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মহানগর উত্তরের আমিনুল হক, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুব দলের মোনায়েম মুন্না, উলামা দলের নেছারুল হক, জাসাসের লিয়াকত আলী, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দীন নাছির, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপির খন্দকার আবু আশফাক প্রমুখ নেতারা ছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে নিজে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেছিলেন। পালিয়ে যাননি। ইতিহাসের যা সত্য, তা ইতিহাসই নির্ধারণ করে।’
এর আগে সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।