প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:১৫ পিএম
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৩১ পিএম
সোমবার ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। প্রবা ফটো
বিএনপি সরকার তাদের আমলে যে দুঃখকষ্টের বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিল, সেই দুঃখকষ্টের বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নেই বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুর রউফসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঈদ মানুষের কষ্টে কেটেছে বলে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য প্রসঙ্গে নানক বলেন, রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যে কথা বলেন তারা সেই বাংলাদেশ দেখতে অভ্যস্ত। আজ বাংলাদেশ এমন এক জায়গায় গেছে যে পেছনে তাকানোর সময় নেই। আজ বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আজ বিশ্ব হাতের নাগালের মধ্যে। কাজেই রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যে দুঃখকষ্টের বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলেন সেই দুঃখকষ্টের বাংলাদেশ আজ আর নেই। আজকের বাংলাদেশ একটি সুন্দর বাংলাদেশ, হাস্যোজ্জ্বল বাংলাদেশ। রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যে যত স্বপ্নই দেখুক সে স্বপ্ন পূরণ হবে না। বাংলাদেশ আর পেছনে তাকাবার বাংলাদেশ নেই।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব তি নিয়ে নানক বলেন, ‘আমরা গ্রামের মানুষ। আমরা যারা সরকারের লোক এবং সরকারে রয়েছি, আমরা কিন্তু রমজানের আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। রমজানের আগেই বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমার নির্বাচনী এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলানগরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সুলভমূল্যে কেনাকাটার ব্যবস্থা করেছিলাম। ঢাকার মানুষ যে বাজার পরিস্থিতির মুখোমুখি ছিল মফস্বলের মানুষ কিন্তু সেই পরিস্থিতির মুখে ছিল না। ঢাকা শহরে এক পরিস্থিতি, মফস্বলের আরেক পরিস্থিতি। তৃণমূল কৃষক যে দামে বিক্রি করে ভোক্তার কাছে এসে তা ৫০-৬০ গুণ বেড়ে যায়। এটা আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি।’
তাহলে কি সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেননি—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট একটা পপুলার শব্দ। সিন্ডিকেট আমার কাছে মনে হয়েছে বড় ব্যাপার। তবে সিন্ডিকেট কাঁচাবাজারের ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়। মাঝখানে যারা, ভোক্তা যাদের থেকে মালামালটা কেনে সেখানে নিয়ন্ত্রণ হওয়া দরকার। সে কাজটা সরকার করবে, সেটা সরকারের দায়িত্ব। আমরা যারা সরকারে আছি আমাদের দায়িত্ব। সুলভ মূল্যের বাজারের কারণে ঢাকা শহরে ১৫ রোজার পরে বাজার ফল করেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জিনিসপত্র, কাঁচামালের দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
নানক বলেন, দেশের মানুষ দুটি বড় উৎসব পালন করল। ঈদুল ফিতরের পর বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করেছে। দুই উৎসব আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে পালন করেছে। ধন্যবাদ জানাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সবাইকে।
অন্য এক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সচিবালয়ে আজ আমারও ভালো লাগেনি। অনেক ভিড়ের সচিবালয়ে আজ ভিড় কম। ঢাকার রাস্তা অস্বাভাবিক। আসলে আমার জানা মতে দুই পর্ব মিলে এত ছুটি হয়নি। এখন স্বল্প সময়ের মধ্যে মানুষ বাড়ি যায়। সমস্ত যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। গ্রামের বাড়ি যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আমার মনে হয় এ সপ্তাহ এমন ঢিলেঢালা যাবে। আগামী সপ্তাহে কর্মচঞ্চল হবে।