গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় নিউইয়র্কে প্রতিবাদ সমাবেশ

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ক্যামব্রিজে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় নিউইয়র্কে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট (ডব্লিউএইচআরডি)। 

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার সিটি প্লাজায় স্থানীয় সময় রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্টের সভাপতি শাহ শহীদুল হক সাঈদ বলেন, ‘আমাদের হৃদয় দুঃখ ভারাক্রান্ত, আমরা শোকে মর্মাহত। আমি আজকের এই দিনে ঐতিহাসিক মার্টিন লুথার কিং ডে স্মরণ করে বলতে চাই, এ ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যায়। এটি সব মানবতার জন্য হুমকিস্বরূপ। এই মৃত্যু, মৃত্যু নয়, হত্যাকাণ্ড, আমরা সাঈদ ফয়সালের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের (জেবিবিএ) সভাপতি গিয়াস আহমেদ বলেন, ‘আমরা এ অনাকাঙ্ক্ষি মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। নিহতের পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনার পাশাপাশি দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় সব প্রবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রিমিয়াম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট বাবু খান তার বক্তব্যে সাঈদ ফয়সালের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এই প্রতিবাদ সভার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি।’

সংগঠনের সভাপতি শাহ শহীদুল হক সাঈদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জয়, কম্যুনিটি লিডার মাসুদ সিরাজী, ইকবাল হোসেন, তরুণ প্রজন্মের আইকন প্রিসিলা, স্কুল ছাত্র ফারহান রহমান ও চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক রাশেদ আহমেদ প্রমুখ।

সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম, পুলক মাহমুদ, কানু দত্ত, সরদার নুরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার হাসান, জেবিবিএর সহসাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান এই প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

গত ৪ জানুয়ারি দুপুরে ক্যামব্রিজে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত শিক্ষার্থী সাইদ আরিফ ফয়সাল জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে পুলিশই তাকে উদ্ধার করে বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে সন্ধ্যায় মারা যান। তবে পুলিশ ঘটনার পর থেকেই দাবি করে আসছে ফয়সালের হাতে একটা লম্বা ছুরি দেখতে পেয়ে তাকে সেটা নিচে ফেলে দিতে বলেন। কিন্তু সে পুলিশের দিকে ধেয়ে আসছিল। ফলে পুলিশ তাকে গুলি করতে বাধ্য হন।