সুহেল ইবনে ইসহাক, টরন্টো (কানাডা)
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৫ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩১ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শাহরিয়ার-দীপ্তের জানাজায় অংশগ্রহণ করা বাংলাদেশিরা। প্রবা ফটো
কানাডার টরন্টোয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শাহরিয়ার মাহির খান ও আরিয়ান আলম দীপ্তের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর স্কারবোরোর ১ স্টামফোর্ড স্কয়ার নর্থে অবস্থিত আল-আবেদীন মসজিদে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশি কমিউনিটির কয়েকশ লোক তাদের জানাজায় অংশ নেন। অন্টারিও প্রদেশে সোমবার ‘ফ্যামিলি ডে’ হিসেবে দিনটি ছিল সরকারি ছুটির দিন। তাই দূর থেকে অনেক মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন।
‘কানাডিয়ান বাংলাদেশি ইসলামিক ফিউনারেল সার্ভিসেস’ এর ডিরেক্টর খসরুজ্জামান চৌধুরী দুলু বলেন, ‘নিহত শাহরিয়ার ও দীপ্তের ফিউনারেল সার্ভিসের যাবতীয় কাজ শেষ করা হযেছে। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসেবে প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম শেষ হতে আরও কিছু সময় লাগবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে তাদের পরিবারের সাথে আমার প্রতিদিন কথা হচ্ছে। আমি সব খবর তাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। কবে লাশ দেশে পাঠানো যাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সঠিক তারিখ বলা যাচ্ছে না। সকল প্রশাসনিক কাজ শেষে তা বলা সম্ভব হবে।’
নিহত বাংলাদেশি তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে এঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈর মরদেহ প্রার্থনা ও শেষ দর্শনের আয়োজন করা হয়েছে গত রবিবার লোটাস ফিউনারেল অ্যান্ড ক্রিমেশন সেন্টারে। যা সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার খলিলুর রহমান বলেন, ‘অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈকে নিয়ে তার পরিবার ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশে রওনা করবে।’
জানাজায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল লুৎফুর রহমান, হাম্বার ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি ডিন ও আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিভাগের ডিন অ্যান্ড্রু নীল, এমপিপি ডলি বেগমসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন নেতা, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কানাডার অন্টারিওর ডান্ডাস স্ট্রিট সাউথবাউন্ড হাইওয়ে ৪২৭-এ সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহত হন। নিহতদের মধ্যে শাহরিয়ার খান জর্জ ব্রাউন কলেজ আরিয়ান আলম দীপ্ত টরন্টোর হাম্বার কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। আরেক শিক্ষার্থী অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈ শ্রেয়া। আহত নিবিড় কুমার সেনেকা কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে।