যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩ ১১:০৯ এএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৩ ১২:৩০ পিএম
নিউইয়র্কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’- প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউইয়র্কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ মার্চ) অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া বাংলাদেশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে কনস্যুলেটের অন্য কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় এ সময়। বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭১ ও ১৯৭৫-এর সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
প্রধান অতিথি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসহ সব আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ নেতৃত্ব ও অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির রূপরেখা বর্ণনা করেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত বিভিন্ন অত্যাধুনিক সেবার কথা উল্লেখ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গঠনে সাবাইকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্যে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম দিবসের বিশেষ তাৎপর্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বর্ণনা করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি- 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়'- উল্লেখপূর্বক বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতার ওপর আলোকপাত করেন। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও সংগ্রাম বিশ্বের মুক্তিকামী ও শান্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবেন বলে তিনি যোগ করেন।
তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির পিতার আদর্শ ও দর্শন ছড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রসারে অবদান রাখার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শিশু-কিশোরদের পরিবেশনাসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কণ্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান।