যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ০৯:৫১ এএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ১১:২৫ এএম
যুক্তরাষ্ট্রে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। প্রবা ফটো
যুক্তরাষ্ট্রে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশের অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টির কেনেডি স্কুলের অ্যাশ সেন্টারে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন খাতের সাফল্য, সরকারের প্রতিশ্রুতি ও কৌশল এবং স্থিতিস্থাপক অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বৈঠকসূত্রে জানা যায়, আলোচনায় দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় পদক্ষেপ, ডিজিটাল রূপান্তর, বিদ্যুৎ, পরিবহনসহ দেশের বিভিন্ন খাতের সাফল্যের ওপর জোর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সোনার বাংলায় রূপদানে সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং ফলাফলমুখী কৌশলের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি এসব সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বকে কৃতিত্ব দেন।
এ ছাড়া স্থিতিস্থাপক অর্থনীতি, সংযোগকারী এবং একটি বিনিয়োগ গন্তব্যে বিকশিত হওয়ার সাফল্যের গল্প তুলে ধরেন এ কে মোমেন। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের স্মার্ট দ্য অ্যাশ সেন্টার, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং গবেষণার ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও এগিয়ে যাওয়ার নানান প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হলো, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়। সে অনুযায়ী এ অঞ্চলে ও এর বাইরে শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতার ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এ ছাড়া আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূলতা, বৈশ্বিক রাজনীতি, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ওপর আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
সমাপনী বক্তব্যে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ সরকার এবং অ্যাশ সেন্টারের মধ্যে সহযোগিতা আগামী দিনে আরও সুসংহত হবে।
আলোচনায় আরও অংশ নেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি সদস্য, গবেষকরা। এতে কেনেডি স্কুলের সাবেক ছাত্ররাও উপস্থিত ছিলেন। অ্যান্থনি সাইচ, অ্যাশ সেন্টারের আন্তর্জাতিক বিষয়ক অধ্যাপক এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের রাজাওয়ালি ফাউন্ডেশন ইনস্টিটিউট ফর এশিয়ার পরিচালক এতে স্বাগত বক্তব্য দেন। গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত থাকায় আব্দুল মোমেনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।