যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩ ১৩:১৬ পিএম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩ ১৪:২০ পিএম
অভিযুক্ত এস কে অনোয়ার। প্রবা ফটো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশের কাছে মিথ্যা ফৌজদারি অভিযোগ করায় প্রবাসী এক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম এস কে আনোয়ার। তিনি নিউইয়র্কে বসবাস করেন। মামলার বাদী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াসিন।
এস কে আনোয়ার গত ২ মার্চ নিউইয়র্কের কুইন্স কাউন্টি পুলিশ স্টেশনে ব্যবসার সাবেক অংশীদার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াসিনের নামে মিথ্যা ফৌজদারি অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ ইয়াসিনকে পুলিশ স্টেশনে হাজির হবার নির্দেশ দেন। ওইদিন পুলিশ স্টেশনে তিনি হাজির হয়ে অভিযোগ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র দেখালে, তাকে পুলিশ স্টেশন থেকে বাসায় ফেরত পাঠানো হয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তেই এস কে আনোয়ার অভিযোগটি পুলিশের কাছে ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।
কুইন্স কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নি ফৌজদারি আদালতের গ্রেপ্তারের মামলা ও সব রেকর্ড সিলগালা করেন।
ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াসিনের মিথ্যা ফৌজদারি অভিযোগের চরম মানহানি হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি গত ১৬ মার্চ নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি সুপ্রিম কোর্টে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩ কোটি টাকা একটি ক্ষতিপূরণ মামলা করেন এস কে আনোয়ারের বিরুদ্ধে। ইয়াসিনের পক্ষে এ মামলাটি করেন অ্যাটর্নি ইরা লেভিন। মামলায় ইয়াসিন ক্ষতিপূরণমূলক ক্ষতির জন্য পাঁচ মিলিয়ন এবং শাস্তিমূলক ক্ষতির জন্য আরও এক মিলিয়ন ডলার দাবি করেন।
আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, আসামি যদি আদালতে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হয় তাহলে ডিফল্টরূপে ক্ষতিপূরণমূলক এবং শাস্তিমূলক রায় দেওয়া হবে।
মামলার পরে এস কে আনোয়ারের নিউইয়র্কের ইস্ট এমহার্স্টের ঠিকানায় সমন জারি করেছেন আদালত।
এদিকে এস কে আনোয়ারের বরাতে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আজকাল পত্রিকা গত ৩ মার্চের সংখ্যায় প্রথম পৃষ্ঠায় ‘এসবিএ লোন : ৫ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ, প্রতারণার দায়ে বাংলাদেশী গ্রেপ্তার’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও প্রতিহিংসামূলক বলে দাবী বলেন ইয়াসিন। তিনি ওই সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘আজকাল পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে ব্যক্তিগতভাবে আমার ও পরিবারের মানহানি ঘটেছে। কেননা প্রকাশিত খবর প্রসঙ্গে কিছুই জানি না। আমার কাছে আজকাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানতে চাননি বা তার কোনো বক্তব্য রিপোর্টে নেই। প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে আমি নাকি এস কে আনোয়ারের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছি। এজন্য আমাকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আমি পুলিশ হেফাজতে রয়েছি এইসব তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট।
তিনি বলেন, ‘প্রকাশিত ভুয়া প্রতিবেদনের জন্য সাপ্তাহিক আজকাল পত্রিকার বিরুদ্ধে ১০৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আগামী সপ্তাহেই আদালতে সকল কাজপত্র দাখিল করব।