প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৩ ২২:০২ পিএম
আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৩ ২৩:১৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের রূপকার শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশন এক বিশেষ স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে তরুণ প্রজন্মের মেধাবী তিন ব্রিটিশ-বাংলাদেশিকে ‘শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল যুব, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া প্রবাসি পুরস্কার- ২০২৩’ প্রদান করা হয়।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মকে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন, কর্ম ও বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদানের কথা জানানোর পাশাপাশি তার আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন ২০২২ সালে এই পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষণা করে। হাই কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বছর প্রথমবারের মতো পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- ব্রিটেনে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রফেশনাল ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ফুটবল খেলোয়াড় লেস্টার সিটি ক্লাবের মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী, ইংলিশ টেস্ট ক্রিকেটে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি খেলোয়াড় এসেক্স কাউন্টি ক্লাবের রবীন দাশ এবং সংস্কৃতি ও মিডিয়া ক্ষেত্রে বিবিসি এশিয়া নেটওয়ার্কে জনপ্রিয় ব্রডকাস্টার নাদিয়া আলি।
এ উপলক্ষে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের উদ্দেশে এক বিশেষ ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়া, সংস্কৃতি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সদ্য-স্বাধীন দেশের পুনঃগঠনে তরুণ সমাজকে সুসংগঠিত করে ক্যাপ্টেন শেখ কামাল যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন সেজন্য তিনি চির অনুসরনীয় হয়ে থাকবেন।’
বাঙ্গালি অধ্যুষিত পূর্ব-লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে আজ রবিবার আয়োজিত এই স্মারক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তিনি।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম। তিনি বলেন, ‘ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন এক নির্ভীক প্রাণশক্তির মূর্ত প্রতীক এবং উদ্দীপ্ত তারুণ্যের অগ্রদূত। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি ছিলেন একজন ট্রেইলব্লেজার, ট্রেন্ড সেটার, ভিসনারি ও যুবসমাজের আইকন। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনিই প্রথম ফুটবল ও ক্রিটেকসহ ক্রীড়াজগতকের ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তিস্থাপন করেন। তার প্রতিষ্ঠিত আবাহনী ক্রীড়াচক্র আজও বাংলাদেশে ক্রিকেট ও ফুটবলের আলোর দিশারী।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে এখন প্রায় এক মিলিয়ন প্রবাসি ব্রিটিশ-বাংলাদেশি রয়েছেন। যাদের নতুন প্রজন্ম মিডিয়া, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাদের মেধা ও নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে। এই তরুণ প্রজন্মকে শেখ কামালের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানাতে ও অনুপ্রাণিত করতেই বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের নামে পুরস্কার প্রবর্তন করেছে।’
স্মারক অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মোজাম্মেল আলি, মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের অনুজ বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু মুসা হাসান, বিবিসির সাবেক রাজনৈতিক ও ক্রীড়া বিশ্লেষক উদয় শঙ্কর দাস এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট কাউন্সিল ইউকে-র প্রেসিডেন্ট নঈম উদ্দিন রিয়াজ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে শেখ কামালের জীবনের ওপর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ উপলক্ষে এক বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীরও আয়োজন করে।