× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পুলিশে চাকরিটা ছিল আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৩:১৯ পিএম

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৩:২০ পিএম

দেশের প্রথম নারী ওসি হোসনে আরা বেগম।

দেশের প্রথম নারী ওসি হোসনে আরা বেগম।

দেশের প্রথম নারী ওসি হোসনে আরা বেগম। ১৯৮১ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে এসআই পদে যোগ দেন তিনি। ২০০৪ সালে পদোন্নতি পান পরিদর্শক পদে।

২০০৯ সালে তিনি ডিএমপির ক্যান্টনমেন্ট থানায় ওসি হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে দেশের কোনো নারী এ পদে দায়িত্ব পাননি। কাজ করেছেন জাতিসংঘ হাইতি মিশনে। সর্বশেষ সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে ভিকটিম সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন, তেজগাঁওয়ে কর্মরত অবস্থায় অবসরে যান ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ।

বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি লিখেছেন স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী ওসি’ বলছি। এ ছাড়া রয়েছে তার একটি কবিতার বই ‘অব্যক্ত ভালোবাসা’। 

১৯৫৭ সালের ৩ জানুয়ারি গাজীপুরের সাতানীপাড়া গ্রামে জন্ম হোসনে আরা বেগমের। বাবা ছিলেন ফরেস্ট অফিসার। বাবার চাকরির সূত্রে তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তার সঙ্গে প্রতিদিনের বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছেন শহিদুল ইসলাম রাজী 

প্রতিদিনের বাংলাদেশ : পুলিশের চাকরিতে কীভাবে এলেন? পরিবারের সদস্যদের কোনো বাধা ছিল কি না? 

হোসনে আরা বেগম : ১৯৮১ সালের কথা। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি সায়েন্সের ছাত্রী। পুলিশ বিভাগে সরাসরি এসআই পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেল। আমার বাবা তখন ফরেস্ট অফিসার। তাকে না জানিয়েই ওই পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করলাম। কারণ ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল দেশ ও মানুষের কল্যাণে কিছু করার।

এই পেশায়, এই ডিপার্টমেন্টে (পুলিশে) ইচ্ছা করলে জনসাধারণকে শান্তিপূর্ণভাবে সেবা দেওয়ার সেই সুযোগ আছে। তাই পুলিশে এসআই হিসেবে যোগ দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করিনি। পরে বিষয়টি বাবাকে জানাই। কিন্তু তিনি এই চাকরির ব্যাপারে রাজি ছিলেন না। আমার সঙ্গে রাগও করেছেন। বলেছেন, ‘মেয়েকে ভার্সিটিতে ভর্তি করালাম, কিন্তু সে বেছে নিল পুলিশের চাকরি!’ পরে অবশ্য বাবা মেনে নিয়েছিলেন। তখনকার দিনে পুলিশ বিভাগে চাকরি করার ব্যাপারটা মেনে নেওয়া অত সহজ ছিল না। 

প্রবা : ২০০৯ সালের ১৭ মে আপনি থানায় প্রথম নারী ওসি হিসেবে নিয়োগ পান। তখন আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?

হোসনে আরা বেগম : খুব আনন্দিত হয়েছিলাম। তখনও তো কোনো নারী ওসি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এটা নিয়ে আমরা খুব আফসোস করতাম। যখন জানতে পারলাম, আমাকেই প্রথম নারী ওসি হিসেবে সিলেকশন করা হয়েছে, তখন সত্যিই খুব আনন্দ পেয়েছি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ঊর্ধ্বতন অফিসাররা আমাকে সাহস জুগিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন। বর্তমান সরকার আমাদের, নারীদের বিভিন্ন সেক্টরে আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এ সুযোগ করে দেওয়ায় বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমি শ্রদ্ধাভরে সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। মেয়েরা বর্তমানে যেভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত রেখে কাজ করছে, তা তারই অবদান। 

প্রবা : ওসি পদে কতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন? তখন এমন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন কি, যা আজও আপনার মনে দাগ কেটে আছে?

হোসনে আরা বেগম : নারী হিসেবে পুলিশে চাকরিটা ছিল আমার জন্য যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমন চারমিংও। ওসি হয়ে প্রথম যোগ দিয়েছিলাম ক্যান্টনমেন্ট থানায়। তখনকার একটা ঘটনা বলি। পুরো এক বছর দায়িত্ব পালনের পর আমার দক্ষতা দেখে আমাকে জাতিসংঘ হাইতি মিশনের জন্য সিলেকশন করা হলো।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তখন বলছিলেন, ‘প্রথম ওসি বানালাম, তুমি বাইরে চলে যাচ্ছো?’ তখন বলেছিলাম, ‘স্যার, সুযোগ যখন হয়েছে, কিছুদিন মিশনে কাজ করে আসি। তারপর আবার থানার দায়িত্বেই ফিরব স্যার।’ তারপর আমি এক বছরের জন্য মিশনে যাই। হাইতি মিশনেও বাংলাদেশের নারী পুলিশদের প্রথম কনটিনজেন্ট ছিল আমাদের টিম। একজন নারী ইনচার্জের নেতৃত্বে দেড়শজন হাইতি মিশনে কাজ করেছি। সুনাম কুড়িয়েছি। পরে ভাষানটেকের ওসি ছিলাম দীর্ঘ তিন বছর। প্রায় চার বছর থানায় ওসির দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু সফলভাবে সেসব সমস্যার সমাধানও করতে পেরেছি। 

অনেক সময় নাইট রাউন্ডে ডিউটি করতে গিয়ে তাৎক্ষণিক কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হতো। তখন তো ইয়াং ছিলাম। এ পেশায় ছোট সময় থেকে আগ্রহ থাকায় কাজ করতে খুবই আনন্দ পেতাম। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজে সফল হলে আলাদা রকম প্রফুল্লতা বোধ করতাম। যা কাজের গতিকেও আরও বাড়িয়ে দিত। 

একটি গল্প বলি, আমি তখন ভাষানটেক থানার ওসি। ঈদের তিন দিন আগে উত্তরার এক ভদ্রলোক মহিষ কিনে নিয়ে এলো। থানার পাশেই একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় সেটি বেঁধে রাখা ছিল। রাত ৩টার দিকে আমার পরিদর্শক (তদন্ত) নাইট রাউন্ডে ফোন দিয়ে জানালেন, ‘স্যার, থানার পাশেই কোয়ার্টারে একটি মহিষ লাফ দিয়ে দুই-তিনজনকে জখম করেছে। তাদের অবস্থা গুরুতর, আইসিইউতে ভর্তি। মহিষটার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কী করা যায় স্যার?’ আমি সঙ্গে সঙ্গে এসপি স্যারকে ফোন করে পরিস্থিতি জানালাম। আশপাশের মানুষজনের আতঙ্কের কথাও জানালাম। স্যার সেটিকে বন্দুক দিয়ে গুলি চালিয়ে বশে আনার পরামর্শ দিলেন। 

আমি পুলিশ ক্লাবের ন্যাশনাল শুটার। স্যারকে সেটা জানিয়ে বললাম, আপনি অনুমতি দিলে কাজটা আমিই করতে পারি। তিনি অনুমতি দেওয়ার পর থানা থেকে বন্দুক ও ৫০ রাউন্ড গুলি নিয়ে আমি নিজেই বাউন্ডারির ওপর উঠে গুলি করি। কিন্তু মহিষটি কিছুতেই হার মানছিল না। সাধারণ মানুষও ঘটনাটি দেখছিল। স্যার আমাকে পরামর্শ দিলেন মহিষটির হাঁটুতে গুলি করতে। তাই করলাম। হাঁটুতে দুই রাউন্ড গুলির পরপরই মহিষটি পড়ে গেল। মহিষের মালিক সেটিকে আর কোরবানি দিতে রাজি ছিলেন না। তাই মহিষটিকে জবাই করে ভাষানটেকের গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পেরেছি বলে সেদিন আমার নিজের কাছেই ভালো লেগেছিল। 

আমাদের চাকরি কিন্তু অন্যদের মতো না। যেকোনো সময় সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। যেমন, একবার একটা ব্যাংকের মামলা নিয়ে কাজ করতে হয়েছিল। তখন লেজার বুক থেকে শুরু করে ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন কাজ জানতে হয়েছিল। একবার সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, থানা থেকে পুরুষ এসআইরা ঘটনাস্থলে যেতে সাহস পাচ্ছেন না। সিলেটের ঘটনা এটা। তখন আমি ডিউটি অফিসার। আমি বললাম, ‘ভয়ের কিছু নেই- অ্যাক্সিডেন্ট করে মেরে ফেলেছে, রোড ব্লক হয়ে আছে। আপনি গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মেডিকেলে পাঠাবেন। সড়ক সার্ভ করে যান চলাচল স্বভাবিক করবেন।’ কিন্তু কোনো পরামর্শেই কাজ হচ্ছিল না। তখন সেই এসআইকে বললাম, ‘আপনি ডেস্কে বসেন। আমি গিয়ে সার্ভ করে আসি।’ এ ধরনের অনেক কাজ আমি নিজে থেকেই উৎসাহী হয়ে করেছি। চ্যালেঞ্জ থাকলেও পুলিশের পেশা আমার খুব ভালো লাগার পেশা ছিল।

প্রবা : দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুরুষ সহকর্মীদের সহযোগিতা পেয়েছেন কেমন? 

হোসনে আরা বেগম : অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। ভালো সহযোগিতা পেয়েছি। এসপি স্যার খুবই ভালো ছিলেন। স্যার আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমার কলিগ পরিদর্শক (তদন্ত), পরিদর্শক (অপারেশন)Ñ তাদের কাছ থেকেও যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছি। 

প্রবা : আমাদের সমাজে নারীদের ঘরের বাইরে কিছু করাটা তেমন ইতিবাচক নয়। সেক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকে। আপনি কী কী প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছিলেন? কীভাবে তা মোকাবিলা করেছিলেন?

হোসনে আরা বেগম : ওই সময় আমরা নারী পুলিশরা ইউনিফর্ম পরে মুভ করতে বেরুলে অনেকেই অবাক দৃষ্টিতে তাকাতেন। কৌতূহলী হয়ে উঠতেন। সিলেটে আমি দীর্ঘদিন কাজ করেছি। মৌলভীবাজার সদর থানা, সিলেট সদর থানা, সিলেট বিমানবন্দর- ওখানকার এই তিন থানাতে আমি ১৩ বছর চাকরি করেছি। সিলেটিরা একটু পর্দানশিন। আমাকে তখন একবার শার্ট-প্যান্ট ইউনিফর্ম পরে ডিসেন্টার একটা ডেডবডি সুনামগঞ্জের কবর থেকে উত্তোলন করতে হয়েছিল। সাংবাদিকরা তখন ভুক্তভোগীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার চেয়ে আমাকে নিয়েই লেখালেখি করেছে বেশি। পেপারিংও হয়েছে। তখন সাধারণ মানুষ আমাকে দেখতে আসত, বুঝতে চাইত কীভাবে কাজ করা হচ্ছে।

আসলে তাদের কিউরিসিটিই বেশি ছিল। সিলেটে প্রথম চারজন কনস্টেবল নিয়ে প্রথম নারী পুলিশ হিসেবে যোগ দিই। এসআই হিসেবে সিলেট কোতোয়ালি থানায় পোস্টিং হয়। তখন শুধু ডিএমপি, সিএমপি, আরএমপি কিছু নারী পুলিশ সদস্য ছিল। এরপর সিলেটে আমি প্রথম নারী এসআই। এজন্য সেখানকার জনগণ একটু কৌতূহলীই ছিল। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি। আমার মতে, এটা কৌশলগত সার্ভিস। এখানে আইন প্রয়োগ করার বিষয়টি একজন নারীর ক্ষেত্রে যেমন, একজন পুরুষের ক্ষেত্রেও তেমনই। এখানে পৃথক আইন যেমন নেই, তেমনি নারী-পুরুষের মধ্যে ভেদাভেদেরও কোনো বিষয় আছে বলে আমি মনে করি না।

প্রবা : একটা থানা সামলাতে একজন নারীকে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়? 

হোসনে আরা বেগম : নারীদের পথচলা সব সময়েই বন্ধুর। নারী হিসেবে পুলিশে চাকরি করা আরও বন্ধুর পথে হাঁটার, চ্যালেঞ্জের বিষয়। অনেক শ্রম আর সাধনার কারণে সফলতার সিঁড়ি বেয়ে এগোতে পেরেছি। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে অনেক ঘটনার জীবন্ত সাক্ষী আমি। তবে যে বিষয়টি লক্ষ করেছি সেটি হলো, কোনো ঘটনার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক রেসপন্স করাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। যেমন, আমি তখন ভাষানটেকের ওসি। তখন মিরপুর ১৪ নম্বরে নারী শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিল। আমি তখনই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিই। আমি কোনো ঘটনা শুনলেই তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে পড়তাম। 

প্রবা : চাকরি ও সংসার একই সঙ্গে কীভাবে সামলেছেন? 

হোসনে আরা বেগম : তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছেন। যখন ডিউটিতে থাকতাম তখন কাজ নিয়ে, আবার যখন বাসায় থাকতাম তখন পরিবারকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। 

প্রবা : কর্মক্ষেত্রে একজন নারীর অনুকূল পরিবেশের জন্য কী কী দরকার বলে আপনি মনে করেন? 

হোসনে আরা বেগম : কর্মক্ষেত্রে, আমি বলব, স্বাধীনতার প্রয়োজন। বাবা-মা, ভাই-বোন যারা আছেন, তারা যেন মনে করেন, নারীরাও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে, তাদেরও সহযোগিতা করা উচিত। তাদের প্রতি পরিবার ও কর্মক্ষেত্রের লোকজনের আস্থা রাখা উচিত। এর ফলে প্রত্যেক নারীই ভালো করতে পারবে বলে আমি আশাবাদী। 

প্রবা : বর্তমান তরুণ প্রজন্মের নারীদের জন্য কিছু বলুন।

হোসনে আরা বেগম : তরুণ প্রজন্মের নারীদের দীপ্ত পদক্ষেপে সামনের দিকে এগোতে হবে। নারীদের চাকরির ক্ষেত্রে আমাদের সময়ে যেসব প্রতিবন্ধকতা ছিল, এখন কিন্তু তেমন একটা নেই। তাই সব ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। দেখিয়ে দিতে হবে, আমরা নারী, আমরাও পারি। 

প্রবা : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

হোসনে আরা বেগম : আপনাকেও ধন্যবাদ। ধন্যবাদ জানাই প্রতিদিনের বাংলাদেশ পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে। সাধারণ মানুষের প্রিয় পত্রিকা হোক এ কাগজ।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা