জেন্ডার সংবেদনশীলতা
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৩ ১৬:৫৬ পিএম
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৩ ১৭:৩৬ পিএম
প্রেস ক্লাবে জেন্ডার সংবেদনশীলতা নিয়ে মহিলা পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা। প্রবা ফটো
মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার সংবেদনশীলতায় বাজেটের বরাদ্দ না বাড়িয়ে প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, ‘জেন্ডার নিয়ে প্রকল্পগুলোর পরিধি আরও বাড়াতে হবে। তাহলেই জেন্ডার বৈষম্য কমে আসবে। বৈষম্য কমাতে দরকার শক্তিশালী নারী আন্দোলন।’
বুধবার (১৪ জুন) প্রেস ক্লাবে জেন্ডার সংবেদনশীলতা নিয়ে মহিলা পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘কোনো একটা কাজ করলে জেন্ডার সেনসিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সেই কাজ করতে হবে। মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দ দেওয়ার থেকে প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ বাড়ানো হোক। প্রকল্পগুলোর যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে। দারিদ্র্যে কমেছে কিন্তু বৈষম্য বেড়েছে। জেন্ডার বাজেটের ক্ষেত্রেও বিষয়টা তাই। আলাদা বই হচ্ছে বাজেট নিয়ে। ভালো ভালো কথা হচ্ছে। অথচ মানদণ্ডগুলোতে নারীর প্রতি সহিংসতা, বাল্যবিবাহ, মেয়েদের ঝরে পড়ার কথা বলা হয়নি। ক্ষমতায়নের বাস্তব প্রেক্ষিত কতটুকু?
তিনি আরও বলেন, ‘পলিসি মেকার যারা আছে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কোনো পরিবর্তন হয়নি। এখনও ইউএনওকে নারী-পুরুষের বাইরে গিয়ে একজন ইউএনও হিসেবে দেখা হয় না; এমন জায়গায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি। সেজন্য নারীর মর্যাদা বিষয়ক কমিশন গঠন করতে হবে। মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা ততটা আগ্রহী না।’
কতটুকু জেন্ডার সেনসিটিভ বাজেট হয়েছে তা নিয়ে চিন্তা করা জরুরি বলে মনে করেন ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, ‘বাজেটের প্রক্রিয়া, জেন্ডার বাজেটের প্রক্রিয়ায় কি ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে? শিক্ষার কারিকুলামে যা আছে তা যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক, সমতাভিত্তিক ও জেন্ডার সংবেদনশীল না এই বিষয়টা বিশ্বাস না করলে সমতা করব কীভাবে। পলিসি মেকার যারা আছে তারা তো এটাই বিশ্বাস করতে চান না। সরকারকে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আগাতে হবে। নারীর অপ্রতিষ্ঠিত শ্রম, নারীর উত্তরাধিকার আইন, সম্পত্তিতে সমান অধিকার এখনও দেওয়া হয় না।’
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি, অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা উপস্থিত ছিলেন।