প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:১৩ পিএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৫৭ পিএম
সমকামী বিয়েকে বৈধতা দেয়নি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তবে আদালত এও বলেছেন, এলজিবিটিকিউ প্লাস মানুষের অধিকার অবশ্যই সমুন্নত রাখতে হবে।
সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছেন ‘এলজিবিটিকিউ’ সম্প্রদায়ের মানুষরা। পাশাপাশি, সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকারের জন্যও লড়ছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) শীর্ষ আদালতের রায়ে আশার আলো দেখলেন না সমলিঙ্গের মানুষরা। পাঁচ বিচারপতির মধ্যে তিনজনই সন্তান দত্তক নেওয়ার বিরোধিতা করেছেন। বাকি দুই বিচারপতি দত্তক নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। ফলে রায় ৩:২ অনুপাতে বিভক্ত হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সঞ্জয় কউল জানান, সমলিঙ্গের যুগলদের সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকার দেওয়া উচিত। কিন্তু, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহা ভিন্ন মত দেন।
সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতা দেওয়া হবে কি না, এই নিয়ে রায় ঘোষণায় সন্তান দত্তকের বিষয়টি উত্থাপিত হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শুধুমাত্র বিষমকামী যুগলরাই ভালো অভিভাবক হতে পারবেন, এমনটা অনুমান করতে পারে না আইন।’ তিনি আরও জানান যে, সমলিঙ্গের যুগলদের সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি, যা সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে।
২০১৮ সালে সমকামিতা নিয়ে যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতে সমকামিতা অপরাধ নয়— শীর্ষ আদালতের এই রায়ে ‘এলজিবিটিকিউ’ সম্প্রদায়ের মানুষদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হয়েছিল। এই রায়ের পর এ দেশে সমপ্রেমী মানুষরা অনেকটাই ‘স্বাধীন’ হয়েছেন বলে মনে করেন অনেকে। এমনকি, এ নিয়ে সমাজে ভ্রান্ত ধারণাও অনেকটা দূর হয়েছে বলে মনে করেন কেউ কেউ।
২০১৮ সালের ওই রায়ের পরই এ দেশে সমলিঙ্গের বিবাহের আইনি স্বীকৃতির দাবি আরও জোরালো হয়। এমনকি, দেশের শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক রায়ের পর দেশে সমপ্রেমের বিবাহও হয়েছে। কলকাতা, হায়দরাবাদসহ দেশের নানা শহরে সমপ্রেমের বিবাহের খবর শিরোনামে এসেছে। সূত্র : আনন্দবাজার