× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জুমাবার : তাৎপর্যময় ও গুরুত্ববহ দিন

শাহীন হাসনাত

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০১:২৭ এএম

আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১২:০৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

মাহে রমজান অফুরন্ত ফজিলতপূর্ণ মাস। রমজান মাসে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ তারাবি, তাহাজ্জুদ, সুন্নত ও নফল নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। চলতি রমজান মাসের আজ দ্বিতীয় জুমাবার। মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ইসলামের দৃষ্টিতে এ দিনটি অনেক বরকতময় ও তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ এই দিনকে অন্যান্য দিনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা এই দিনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কুরআনে ইরশাদ করেন, ‘মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম, যদি তোমরা বুঝ।’ সূরা : জুমুআ : ০৯

 হাদিসে জুমাবার তথা শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করে ইসলামী চিন্তাবিদরা বলেন, শুক্রবার এবং এই দিনের ইবাদত-বন্দেগি, জুমার নামাজ ইত্যাদির গুরুত্ব অনেক বেশি। তবে আজকের শুক্রবার রমজান মাসে হওয়ায় এর তাৎপর্য আরও বহুগুণ বেড়ে গেছে। জুমার দিন মসজিদে উত্তম পোশাক পরে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে, পরে এসে মুসল্লিদের ঠেলে কাতারের সামনের দিকে যেতে। এমনকি কাউকে তুলে দিয়ে সেখানে বসতেও নিষেধ করা হয়েছে হাদিসে।

শুক্রবার বিশেষ করণীয় হলো, সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করা। এই সুরা তেলাওয়াতের ফজিলত অনেক বেশি। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যারা জুমার দিন সুরা ‎কাহাফ তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাদের জন্য একটা নূর সৃষ্টি করবেন, যা কিয়ামতের দিন তাদের জন্য আলোর কারণ হবে।’ শুক্রবারের ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) অনেক হাদিস বর্ণনা করেছেন। সেই সঙ্গে উল্লেখ করেছেন এ দিনের কিছু আমলের কথা। যে আমলের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হয়। শুক্রবারে মসজিদে গিয়ে আমাদের কর্তব্য হলো, ইমামের কাছাকাছি বসার চেষ্টা করা, চুপচাপ খুতবা শোনা, সামর্থ্য অনুযায়ী দান-খয়রাত করা, রাসুলুল্লাহর (সা.)-এর প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা  ও আল্লাহর কাছে প্রচুর পরিমাণে দোয়া করা।

জুমার নামাজ মুসল্লিরা একত্রে জামাতে আদায় করেন। এভাবে মসজিদে নামাজ পড়ার মাধ্যমে পরস্পরে বিশেষ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। গড়ে ওঠে সামাজিক ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলাবোধ, নিয়মানুবর্তিতা, পারস্পরিক হৃদ্যতা ও সম্প্রীতি। আর মানুষের প্রতি রোজার বিধান প্রদানের উদ্দেশ্যই হলো মানুষের মাঝে উল্লিখিত গুণগুলো সৃষ্টি করা।

 

  • ধর্মীয় গবেষক ও লেখক
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা