গাজী ফরহাদ
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২২ ১২:০২ পিএম
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২২ ১২:১৩ পিএম
গত দুই দিন ধরে বুয়া আসছে না, আজকেসহ তিন দিন হলো। গত দুই দিন দুই জায়গায় খেয়েছি, আজকে কোথায় খাব সেটা ভাবছি।
ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে পড়ল কমিউনিটি সেন্টারের কথা। আজকে কমিউনিটি সেন্টার একমাত্র ভরসা। সর্বপ্রথম খবর নিতে হবে কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে হচ্ছে নাকি সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠান!
গত বছর বিয়ের অনুষ্ঠান মনে করে সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠানে গিয়ে খাবার খাওয়ার সময় অভিভাবকদের হাতে আটক হয়েছি। পরেরদিন দেখি দৈনিক এক পত্রিকায় আমিসহ আরও পাঁচজনের ছবি দিয়ে নিউজ হয়েছে। শিরোনামে লিখেছে ‘বিনা নিমন্ত্রণে দাওয়াত খেতে এসে অপমানিত ছয় যুবক’।
খবর নিয়ে জানতে পারলাম কমিউনিটি সেন্টারে আজকে বিয়ে হচ্ছে। মেয়ের পরিবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সোজা কমিউনিটি সেন্টারে ঢুকে গেলাম। গিয়ে দেখি সবাই টেবিলে বসছে। খালি চেয়ার পেয়ে আমিও সুবিধা করে বসে পড়লাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে উঠে দাঁড়াতে এক ছেলে সামনে এসে দাঁড়াল। বলল,
-ভাই আপনি কি ছেলের পক্ষ থেকে এসেছেন?
-আমাকে দেখে কী মনে হয় আমি বিনা দাওয়াতে খেতে এসেছি?
-আরে না না, তেমন কিছু না। আনিকা আপু জিজ্ঞেস করল সেজন্য বললাম।
-আনিকা আপু কে?
-আজকে যার বিয়ে। ওই... যে আনিকা আপু।
হায় হায়! এ তো দেখি আমার এক্স-গার্লফ্রেন্ড আনিকা। বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, এটা বলবি না ভালো কথা, অন্তত বিয়ের দাওয়াত তো দিবি।
আনিকা হাত তুলে আমাকে ডাক দিয়েছে। আমিও বাধ্য ছেলের মতো তার কাছে গেলাম। আনিকা এক পাশে নিয়ে গিয়ে বলল, ফরহাদ আমাকে ক্ষমা করে দাও।
-যাও ক্ষমা করে দিলাম। অন্তত দাওয়াত তো দিতে পারতে।
-দাওয়াত না দেওয়ার জন্যই তো তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তুমি কি ভাবছ তোমাকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলছি এটার জন্য ক্ষমা চাইতেছি?
-ফাইজলামি কইরো না। তোমার মতো প্রেমিকা থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।
এই কথা বলে পেছনে ফিরতেই দেখি স্বর্ণা। স্বর্ণাকে দেখামাত্র আমার কলিজা শুকিয়ে গেছে। হায় হায়! আজকে আমার সব প্রেমিকা এখানে হাজির হয়েছে নাকি।
-আরে ফরহাদ তুমি এখানে?
-হ্যাঁ । তুমি এখানে?
-আমার কাজিনের বিয়ে।
স্বর্ণার হাত ধরে একপাশে নিয়ে এসে বললাম, তোমার কাজিন কে?
-আনিকা।
-বলো কী? আনিকার বর তো আমার কাজিন!