আবদুর রব শরীফ
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:০৪ পিএম
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:২৯ পিএম
এক ভিক্ষুক দৈনিক পাঁচ গুণ বেশি আয় করে ছোট্ট একটি কৌশল অনুসরণ করে। সে তার চারপাশে পাঁচটি বাটির গায়ে বিভিন্ন ধর্মের নাম লিখে মাঝখানে একটা প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ঘুমাচ্ছে--'দেখি কোন ধর্মের মানুষ বেশি দয়ালু!' জীবনে ক্রিয়েটিভ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই!
চট্টগ্রাম শহরে দশ নম্বর রোডে এক ভিক্ষুক প্রায় সময় বাসে উঠে বলে, ‘আপনাদের কাছে এটি আমার একটি অ্যাপ্লিকেশন, আপনারা কেউ বিরক্ত হবেন না...’ হাসতে হাসতে যাত্রীরা সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা দেয়।
ইপিজেড মোড়ে আরেক ভিক্ষুককে দেখেছিলাম এক টাকা ভিক্ষা নেয় এমনকি দুই টাকা দিলে এক টাকা ফেরত দেয়! আর এই কারণে সে অনেক জনপ্রিয়।
‘মাত্র এক সেন্ট দান করে আমাকে কোটিপতি বানিয়ে দিন’ এমন আবেদন করে প্রথম অনলাইন ভিক্ষুক কোটিপতি হয়ে গিয়েছিল। এর মানে আপনিও একই পন্থায় কোটিপতি হয়ে যাবেন, সেটা ভাবাও আপনার সীমাবদ্ধতা।
কারণ, বেশিরভাগ ইউনিক আইডিয়া ওয়ান টাইম ইউজের মতো!
এক নিগ্রো ভিক্ষুক জনপ্রিয় হয়েছিলেন, ‘প্রাইভেট বিমানের জন্য ফুয়েল দরকার’ মর্মে প্ল্যাকার্ডের জন্য।
আরেক ভিক্ষুক লিখেছিলেন--‘আমার শেষ সম্বল বিনিয়োগ করে মার্কার কিনে কার্ডবোর্ড লিখে সাহায্য পার্থনা করছি।’
আরেক ভিক্ষুক কার্ডবোর্ডে লিখেছিলেন--‘কম্পিউটার কেনার জন্য টাকা চাই, তিন দিন ধরে ফেসবুক চেক করতে পারছি না!’
এক আমেরিকান ভিক্ষুক লিখেছিলেন, ‘ওবামা আমি শুধু একা নই যে পরিবর্তন চাচ্ছি।’
আরেক ক্রিয়েটিভ ভিক্ষুক লিখেছিলেন, ‘আমার পূর্ব স্ত্রী ভালো আইনজীবী ছিলেন!’
সোজা কথা হলো ভিক্ষুকের মধ্যেও যে ভিক্ষুকটা বেশি সৃষ্টিশীল, সে বেশি ভিক্ষা পায়।
এক ভিক্ষুক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে দিন শেষে টাকা জমা রাখত, একদিন শিক্ষক হিসাব করে দেখলেন ভিক্ষুকের মাসিক ইনকাম তার চেয়ে বেশি!
ধনী দেশগুলো গান শুনিয়ে খুশি করে ভিক্ষা নেওয়ার ট্রেন্ড আছে। সেদিন ষোল শহর দুই নং গেটে এক ভিক্ষুককে দেখলাম গাড়ির ভেতরের মানুষকে বলছে, ‘এই রাস্তায় যত মানুষ দেখি তাদের মধ্যে দেখতে স্যার আপনাকেই ভিআইপি মনে হয়!’
--এই ল ৫০ টাকা, বলে লোকটি থুতনি চেপে গাড়ি টান দিল!
আজব দুনিয়া মাইরি!
প্রবা/আশা/এমজে