ডিআর কঙ্গোয় এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর দেখভাল করছেন নার্স। ছবি : সংগৃহীত
হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাসের (এইচআইভি) কোনো প্রতিষেধক নেই। ভয়ংকর
এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এমনভাবে কমে যায় যে খুব সাধারণ
অসুখেও আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে। এবার উচ্চঝুঁকিপূর্ণ স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট
চিকিৎসা নেওয়ার ৯ বছরের বেশি সময় পরে এসে একজন মধ্যবয়সি ব্যক্তি এইচআইভির লক্ষণ
থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
তার পরিচয় প্রকাশ করা না হলেও চিকিৎসক ও গবেষকরা তার সম্পর্কে বলতে গেলে
‘ডুসেলড্রোফ পেশেন্ট’ হিসেবেই উল্লেখ করছেন। কারণ তার চিকিৎসার সার্বিক তত্ত্বাবধানে
ছিলেন ডুসেলড্রোফ ইউনিভার্সিটি হসপিটালের চিকিৎসকরা। এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্রও
প্রকাশিত হয়েছে।
ডুসেলড্রোফ পেশেন্ট এইচআইভিতে আক্রান্ত হন ২০০৮ সালে এবং ২০১০ সালে
অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল চিকিৎসার একটি কোর্স করেছিলেন। পরের বছর তার অস্থিমজ্জার শ্বেত
রক্তকণিকার ক্যান্সার লিউকোমিয়া ধরা পড়ে।
পরে তার গুরুতর অসুস্থততার সংমিশ্রণ (একই সঙ্গে এইচআইভি ও ক্যান্সার) দেখতে পেয়ে ডাক্তাররা একটি বিপজ্জনক পথ বেছে
নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৩ সালে তার স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। এটি এমন এক চিকিৎসা প্রক্রিয়া
যেখানে, একজন সুস্থ দাতার অস্থিমজ্জা বা রক্ত থেকে স্টেম সেল নেওয়া হয়, পরে তা অসুস্থ রোগীর
নিজের শ্বেত রক্তকণিকা প্রতিস্থাপনের জন্য নমুনা হিসেবে ব্যবহার করে। আর এ চিকিৎসা পদ্ধতি
রোগীর জন্য বিপদের কারণও হতে পারত। ডাক্তাররা সেই ঝুঁকিটি নিয়েছিলেন।
তার দাতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও ডাক্তাররা ভিন্ন পথ অবলম্বন করেন। এমন একজনকে
বেছে নেন যার বিশেষ জেনেটিক মিউটেশন থাকার কারণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এইচআইভি প্রতিরোধী।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য ছিল তার লিউকোমিয়া প্রতিরোধের পাশাপাশি এইচআইভির বিপরীতেও একটি
জেনেটিকভিত্তিক প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তোলা।
এ স্টেম সেল ট্রান্সফারের ৯ বছর পর ও অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা বন্ধ করার ৪ বছর পর গবেষকরা ঘোষণা করেছেন, তার শরীরে এইচআইভির কার্যকর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে
না। তবে এইচআইভির ক্ষেত্রে মুক্তি শব্দটি সরাসরি ব্যবহার করা হয়তো যৌক্তিক নয়। কারণ
দীর্ঘমেয়াদে কোনো লক্ষণ প্রকাশ না করেই আক্রান্তের শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে।
তবে তিনিই প্রথম ব্যক্তি নন, যিনি এ ধরনের চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়েছেন। এর আগে আরও দুজনেরও স্টেমসেল ট্রান্সফার করা হয়েছিল। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন রোগীর ক্ষেত্রে সার্জারি ছাড়াই শুধু ওষুধ সেবনে লক্ষণ উধাও হওয়ার নজির রয়েছে।
সূত্র : ন্যাচার মেডিসিন
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.