প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৪:২৮ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৪:২৯ পিএম
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩০ শতাংশ ভূমি এবং মহাসাগর সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চুক্তিটিকে অপরিহার্য হিসাবে দেখা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত
বছরের পর বছর আলোচনার পর জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রথমবারের মতো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে যেতে সম্মত হয়েছে।
জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো সম্মত হওয়ার পরই সম্মেলনটির চেয়ার পারসন রেনা লি উচ্চস্বরে ঘোষণা করেন যে, ‘জাহাজটি তীরে পৌঁছেছে।’ এ সময় প্রতিনিধিরা দীর্ঘ করতালির মাধ্যমে তাকে অভিবাদন জানান।
দুই সপ্তাহের তুমুল আলোচনার পরে প্রতিনিধিরা ওই চুক্তিটি প্রনয়ণ করতে পেরেছে বলে জানা গেছে।
যদিও চুক্তিটির বিষয়বস্তু এখনো বিশদভাবে প্রকাশ করা হয়নি, তবুও পরিবেশকর্মীরা ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার পরে জীববৈচিত্র্য রক্ষার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসাবে স্বাগত জানিয়েছেন এই চুক্তিকে।
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩০ শতাংশ ভূমি এবং মহাসাগর সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চুক্তিটিকে অপরিহার্য হিসাবে দেখা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে গ্রিনপিসের লরা মেলার বলেন, ‘সমুদ্রের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। এটি প্রমাণ করেছে যে, বিভক্ত বিশ্বে প্রকৃতি এবং মানুষ রক্ষার বিষয়টি ভূ-রাজনীতির উপর বিজয়ী হতে পারে।’
আইনজীবীদের দ্বারা যাচাই করার পরে চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হবে বলে জানা গেছে। এরপর জাতিসংঘের ছয়টি অফিসিয়াল ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশ করা হবে চুক্তিটি।
জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হওয়ায় প্রতিনিধিদের প্রশংসা করেছেন।
গুতেরেসের এক মুখপাত্রের মতে, ওই চুক্তি বহুপাক্ষিকতার বিজয় এবং আগামী প্রজন্মের জন্য সমুদ্রের স্বাস্থ্যের বিপরীতে ধ্বংসাত্মক প্রবণতা মোকাবেলায় বিশ্বশক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রমাণ।’
সূত্র : এনডিটিভি