প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৩ ১২:২৮ পিএম
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৩ ১২:৩৪ পিএম
নাসার তথ্য মোতাবেক ১৯৯৯ সালে চালু হওয়ার পর থেকে মহাকাশ স্টেশনটি এরই মধ্যে ৩২ বার কক্ষপথ পরিবর্তন করেছে। ছবি : সংগৃহীত
বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)।
স্টেশনটির কক্ষপথে চলে এসেছিল আর্থ-ইমেজিং (পৃথিবী পর্যবেক্ষণ) স্যাটেলাইট। সংঘর্ষের
হুমকিতে ঝুঁকিতে পড়ে যায় আইএসএস। তবে বিপদের সম্ভাবনার ৩০ মিনিট আগেই আইএসএসে থাকা
নভোচারীদের তা জানিয়ে দেওয়া হয়।
এমন পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ও সরাসরি সংঘর্ষ এড়াতে আইএসএসে
থাকা নভোচারীরা এর থ্রাস্টার চালু করে দেয়। বিশেষ ধরনের রকেট ইঞ্জিনের মাধ্যমে এই থ্রাস্টার
উৎপন্ন করা হয়। টানা ৬ মিনিট ইঞ্জিনগুলো চালু থাকার পর কক্ষপথ থেকে সরে যায় আইএসএস।
ফলে এড়ানো সম্ভব হয় সংঘর্ষ।
যে স্যাটেলাইটটি আইএসএসের কক্ষপথে চলে এসেছিল, সেটি ল্যাতিন
আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার স্যাটেলাইট। ‘নুসাট-১৭’ নামের স্যাটেলাইটটি ২০২০ সালে চালু
করা হয়। ভূপৃষ্ঠকেন্দ্রিক ডেটা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘স্যাটেলজিক’ এটি পরিচালনা
করে।
হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের
জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. জোনাথন ম্যাকডওয়েল এক টুইটবার্তায় জানিয়েছিলেন,
নুসাট-১৭ স্যাটেলাইটটি সেসব স্যাটেলাইটের একটি, যেগুলো ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ
স্টেশনের কক্ষপথে ঢুকে যাচ্ছে।
তবে স্যাটেলাইট বা মহাকাশে থাকা ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে সংঘর্ষ
এড়াতে আইএসএসের এ ধরনের তৎপরতা নতুন কিছু নয়। নাসার তথ্য মোতাবেক, ১৯৯৯ সালে চালু হওয়ার
পর থেকে মহাকাশ স্টেশনটি এরই মধ্যে ৩২ বার কক্ষপথ পরিবর্তন করেছে।
রাশিয়ার ‘কসমস ১৪০৮’ স্যাটেলাইট থেকে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ এড়াতে
গত বছরও আইএসএস দুইবার কক্ষপথ পরিবর্তন করেছিল। রাশিয়া ২০২১ সালের নভেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে
স্যাটেলাইট বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে কসমস ১৪০৮ স্যাটেলাইটটিকে ধ্বংস করে। তারই ধ্বংসাবশেষ
দুই ধাপে আইএসএসের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছিল।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন