প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৩:১৯ পিএম
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৪:০৪ পিএম
জেমস ওয়েবের ছবিতে দেখা গেছে, ‘ডব্লিউআর ১২৪’ নক্ষত্রটি জ্বলন্ত গ্যাস ও ধূলিকণার আবরণে পরিবেষ্টিত ও এর মাঝখানে উজ্জ্বল হয়ে জ্বলছে। ছবি : নাসা/জেমসওয়েব
পৃথিবী থেকে ১৫ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ঘটে যাওয়া এক বিরল ও গোলযোগপূর্ণ
মহাজাগতিক দৃশ্য ধারণে সক্ষম হয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।
‘ডব্লিউআর ১২৪’ নামের উলফ-রায়েট
উজ্জ্বল নক্ষত্রটির একটি চিত্তাকর্ষক দৃশ্যে সুপারনোভাতে বিস্ফোরণের আগের চিত্র ধরা
পড়েছে।
চূড়ান্ত সুপারনোভা হওয়ার আগে উজ্জ্বল এ নক্ষত্রগুলো হাইড্রোজেনের
মতো জ্বালানি দিয়ে কয়েক লাখ বছর জ্বলতে থাকে। তারাগুলো সবশেষে বাইরের আবরণকে গ্যাস
ও ধুলার বলয়ে ছেড়ে দেয় ও বিস্ফোরিত হয়। আর এ চূড়ান্ত বিস্ফোরণের (সুপারনোভা) আগেই
শেষ হয় নক্ষত্রের জীবৎকাল।
কয়েক লাখ বছরকে অনেক দীর্ঘ মনে হলেও মহাজাগতিক সময় অনুযায়ী এটি
খুব ক্ষুদ্র সময়। তাই নক্ষত্রের সুপারনোভা পর্যায়ের চিত্রধারণ বা শনাক্ত করা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের
জন্য বিরল ঘটনা।
ইনফ্রারেড প্রযুক্তি দিয়ে তোলা জেমস ওয়েবের ছবিতে দেখা গেছে, নক্ষত্রটি
জ্বলন্ত গ্যাস ও ধূলিকণার আবরণে পরিবেষ্টিত ও এর মাঝখানে উজ্জ্বল হয়ে জ্বলছে।
পৃথিবীতে ধুলো একটি বিরক্তিকর উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়, যা নিয়মিত
পরিষ্কার করা প্রয়োজন। কিন্তু মহাবিশ্বজুড়ে মহাজাগতিক ধূলিকণাকে এমনটা গুরুত্বহীন
ভাবার কারণ নেই। কারণ ধুলা ও গ্যাসের সঙ্গে ঘোরাফেরা করে তারা, গ্রহ বিল্ডিং ব্লক তৈরি
করে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করছেন কেন মহাবিশ্বে তাদের তত্ত্ব
ব্যাখ্যা করার চেয়ে বেশি ধুলো আছে এবং ওয়েব টেলিস্কোপের মতো সরঞ্জামগুলো এই জ্যোতির্বিজ্ঞানের
উপাদানটির ওপর নতুন আলো ফেলতে পারে।
জেমস ওয়েবের ধারণ করা উলফ রায়ট নক্ষত্রটি আমাদের নক্ষত্র সূর্যের ভরের ৩০ গুণ ও পৃথিবীর ভরের ৩ লাখ ৩৩ হাজার গুণ।
সূত্র : সিএনএন