প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৩ ১২:১১ পিএম
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৩ ১২:১২ পিএম
‘অ্যাক্সিওম এক্সট্রাভেহিকুলার মোবিলিটি ইউনিট’ প্রোটোটাইপ প্রদর্শন করা হয়েছে হোস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারে।
চাঁদে ফিরতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা
নাসা শুরু করেছে জোর তৎপরতা। মিশন আর্টেমিসের অধীনে এরই মধ্যে সফল ‘আর্টেমিস-১’ মিশন সম্পন্ন
হয়েছে। আর একটি মিশন পরেই ‘আর্টেমিস-৩’ অ্যাপোলো
মিশনের পর আবারও চাঁদের বুকে পা রাখবে মানুষ। নাসা বলছে, এবার ঘুরতে নয়, চাঁদে থাকতে
যাচ্ছে তারা। মিশনটি হতে যাচ্ছে কয়েকদিন স্থায়ী। সেক্ষেত্রে কী সেই ৫০ বছর আগের মুনওয়াকিং
স্যুটই ব্যবহার করবে নাসা?
এর উত্তরটি, না। নাসা আগেই বিষয়টি নিয়ে ভেবেছে যে দীর্ঘ মিশনের জন্য পুরাতন মুনওয়াকিং স্পেস স্যুট উপযোগী নয়। তাই টেক্সাসভিত্তিক কোম্পানি অ্যাক্সিওমের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের মুন-ওয়্যার (চাঁদে পরিধেয় পোশাক) বানাতে ২২ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। এবার বুধবার (১৫ মার্চ) সেই পোশাকের প্রোটোটাইপ প্রদর্শন করা হয়েছে হোস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারে।
নাসার পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে প্রদর্শনীতে দেখানো ‘অ্যাক্সিওম
এক্সট্রাভেহিকুলার মোবিলিটি ইউনিট’ নামের পোশাকটিই
হতে যাচ্ছে পরিবর্তি চন্দ্রাভিযানের স্পেসস্যুট। নতুন বানানো এই স্যুটটি আগেরটির তুলনায়
আরও মসৃণ, নমনীয় ও সুবিন্যাস্ত। পোশাকটিতে একাধিক প্রতিরক্ষামূলক স্তর রয়েছে, লাইট
সাপোর্ট সিস্টেমের পাশাপাশি লাইটসহ একটি ব্যাকপ্যাক এবং হেলমেটের ওপরে বুদবুদ আকৃতির
ভিডিও ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে।
এই পোশাকের পোর্টেবল লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম সম্পর্কে অ্যাচক্সিওমের
এক্সট্রাভেহিকুলার অ্যাক্টিভিটির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার রাসেল রালসটন বলেছেন,
‘এই বক্সে আপনাকে
জীবিত রাখার সমস্ত উপাদান রয়েছে। আপনি এটিকে স্কুবা ট্যাঙ্ক ও এয়ার কন্ডিশনারের অভিনব
কম্বিনেশন ভাবতে পারেন।’নাসার প্রধান প্রশাসক বিল নেলসন বলেছেন,
‘পরবর্তী প্রজন্মের
স্পেসস্যুটগুলো শুধু প্রথম নারীকে চাঁদে হাটতে সক্ষম করবে না, বরং ভবিষ্যতে চাঁদে বৈজ্ঞানিক
অনুসন্ধান চালাতে আরও বেশি মানুষের জন্য সুযোগ উন্মুক্ত করবে।’
নাসার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন এই স্যুটগুলো চাঁদের মিশনে ব্যবহারের আগে এই পৃথিবীতেই মহাকাশের মতো পরিবেশে পরীক্ষা করে নেওয়া হবে।
সূত্র : আল জাজিরা