প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩ ১০:০২ এএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৩ ১৩:০৪ পিএম
এভারেস্টের চূড়ায় ২৯ হাজার ৩১ ফুট ওপরেও মানুষের কাশি ও হাঁচির জীবাণু সংরক্ষিত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ছবি : সংগৃহীত
মানুষের কাশি ও হাঁচির জীবাণু উঁচু উন্মুক্ত স্থানে কত দিন সংরক্ষিত থাকে, তা নিয়ে মানুষের এত দিনের ধারণা আমূল বদলে গেছে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, এভারেস্টের চূড়ায় মানুষের কাশি ও হাঁচির জীবাণু কয়েক দশক, এমনকি কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকে।
আর্কটিক, অ্যান্টার্কটিক এবং আলপাইন গবেষণা জার্নালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক গবেষণাটি করেছেন।
গবেষণায় দাবি করা হয়, ইতঃপূর্বে ২৬ হাজার ফুট ওপরে মানুষের কাশি ও হাঁচির জীবাণু সংরক্ষিত থাকে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু এবার এভারেস্টের চূড়ায় ২৯ হাজার ৩১ ফুট ওপরেও মানুষের কাশি ও হাঁচির জীবাণু সংরক্ষিত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গবেষণার জন্য এভারেস্টের সাউথ কোল নামক অঞ্চল থেকে তিনটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে কালচারিং ও নেক্সট-জেনারেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ক্ষেত্রে এই দুটিই সর্বশেষ প্রযুক্তি। এই দুই আরআরএনএর মাধ্যমে যথাযথভাবে জিনোম সিকোয়েন্সিং করা যায়।
নিউইয়র্ক পোস্ট জানায়, গবেষক দলের প্রধান স্টিভ শিমট বলেন, এভারেস্টের চূড়ায় মানুষের জীবাণুর অনেক নমুনা রয়েছে। এসব নমুনা বরফে আচ্ছন্ন থাকে। সাধারণত পর্বতারোহীরা যেখানে ক্যাম্প করেন তার আশপাশে এমন জীবাণু সহজে পাওয়া যায়। এ রকম তিনটি স্থান থেকে আমরা পলি বা নমুনা সংগ্রহ করেছি।
এভারেস্টের চূড়ার মতো এত উঁচুতে মানুষের জীবাণু এত দিন সংরক্ষিত থাকাটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন স্টিভ শিমট। তিনি বলেন, এভারেস্টের চূড়ায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উপকারী অন্য প্রাণ বা ক্ষুদ্র প্রাণীরও অস্তিত্ব রয়েছে। তাই মানুষের জীবাণু ওই সব প্রাণীর জন্য কতটা হুমকির, তা ভাবতে হবে।
সূত্র : নিউইয়র্ক পোস্ট