প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ১৩:১৬ পিএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ১৫:৫৬ পিএম
নিরক্ষরেখার হালকা নীল জায়গাগুলোকে সালফেট লবণের অবস্থান বলছেন গবেষকরা। ছবি : নাসা
পৃথিবীতে মানব জাতির টিকে থাকার ক্ষেত্রে হিমবাহের ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে হিমবাহ গলে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী।
কারণ এতে উচ্চতা বাড়তে পারে সমুদ্রের। ডুবতে পারে পৃথিবীর নিম্নাঞ্চল। এমন অবস্থায়
এবার জ্যোতির্বিদরা দিলেন চমকপ্রদ তথ্য।
একসময় মঙ্গলের বুকেও ছিল বিশাল সব হিমবাহ। গ্রহটির নিরক্ষরেখার কাছে
হিমবাহের অবশিষ্টাংশও খুঁজে পেয়েছে গবেষক দল। এমনকি গবেষকরা আশা করছেন, এ অঞ্চলটিতে
পানিও রয়েছে।
আর এমনটি যদি হয়, ভবিষ্যৎ মঙ্গল অভিযানের ক্ষেত্রে গ্রহটিতে ঘুরে
বেড়ানো মানুষ এ পানি ব্যবহার করতে পারবে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা
সংস্থা নাসা এবং বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর
প্রচেষ্টার ঘোষণা দিয়েছে।
যদিও এ গবেষণায় যুক্ত ‘সেটি ইনস্টিটিউট’ ও ‘মার্স ইনস্টিটিউট’-এর একজন সিনিয়র
গ্রহবিজ্ঞানী ড. প্যাসকেল লি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যে হিমবাহের সন্ধান পাওয়া
গেছে, তা বরফের নয়। এগুলো ছিল সালফেটের। তবে সালফেটের স্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা বরফের
পকেট থাকাও অসম্ভব কিছু নয়।
গবেষকরা বিশ্বাস করেন, হিমবাহটি ছিল ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২.৫ কিলোমিটার
প্রশস্ত। উচ্চতা ছিল ১.১ থেকে ১.৭ কিলোমিটার।
মূলত বিজ্ঞানীরা যখন ঘনিষ্ঠভাবে মঙ্গলের নিরক্ষরেখার অঞ্চলটিতে চোখ বোলাচ্ছিলেন, সেখানে থাকা মোরেইন পর্বতমালায় হিমবাহের বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করতে সক্ষম
হন। এ ছাড়া হিমবাহের অভ্যন্তরে তৈরি ক্রেভাস ক্ষেত্র (গভীর আকৃতির খোলা অংশ)ও
দেখতে পেয়েছেন।
বুধবার (১৫ মার্চ) টেক্সাসের দ্য উডল্যান্ডসে ৫৪তম চন্দ্র ও গ্রহ
বিজ্ঞান সম্মেলনে এ ফলাফলগুলো দেখানো হয়েছিল।
সূত্র : সিএনএন