× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মারাত্মক ফাঙ্গাসের হানা যুক্তরাষ্ট্রসহ ৪০ দেশে, মৃত্যুহার ৬০ শতাংশ

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩ ১২:২৩ পিএম

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩ ১৫:১৫ পিএম

ক্যানডিডা অরিস ফাঙ্গাসের কম্পিউটার ইলাস্ট্রেটেড চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

ক্যানডিডা অরিস ফাঙ্গাসের কম্পিউটার ইলাস্ট্রেটেড চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

ড্রাগ প্রতিরোধী এক মারাত্মক ফাঙ্গাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১৬ সালে যেখানে দেশটিতে ক্যানডিডা অরিস নামক ফাঙ্গাসটির আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৩, সেখানে ২০২২ সালে এর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৭৭-এ।

যুক্তরাষ্ট্রের ফাঙ্গাস-সংক্রান্ত গবেষকদের বরাতে এমনটাই জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএসজে)।

যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ রাজ্যে এবং প্রায় ৪০টি দেশে ছড়িয়ে পড়া এ ফাঙ্গাসের দ্রুত বিস্তারকে ক্রমবর্ধমান হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সিডিসির দেওয়া তথ্যমতে ২০২১ সালেও যুক্তরাষ্ট্রে ক্যানডিডা অরিসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৭১।

প্রতি বছরই সংখ্যার দিক থেকে ক্যানডিডা অরিসে আক্রান্তের সংখ্যা আগের বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে যেখানে আগের বছরের তুলনায় শনাক্ত বেড়েছিল ৪৪ শতাংশ, সেখানে ২০২১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৯৫ শতাংশে।

এদিকে এত বিপুলসংখ্যক ফাঙ্গাস আক্রান্তে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এতে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুহার ৬০ শতাংশের বেশি। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

এর বিস্তার সম্পর্কে সিডিসির সতর্কতা অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

তবে ফাঙ্গাসের সঙ্গে লড়াই চালিয়েই যাচ্ছে মিসিসিপি অঙ্গরাজ্য। গত বছরের নভেম্বর থেকে ১২টি ফাঙ্গাল আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। সিডিসির মতে ফাঙ্গাসটির সংক্রমণ ত্বকসহ সারা শরীরে হতে পারে। তবে এটি সুস্থ মানুষের জন্য কোনো হুমকি নয়।

সবচেয়ে আতঙ্কের ব্যাপার হলো, এর সংক্রমণের বেশিরভাগ ঘটছে হাসপাতাল থেকে। সাধারণত হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলোয় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির স্পর্শে ফাঙ্গাস ছড়াতে পারে। পাশাপাশি দূষিত মেঝে ও সরঞ্জাম থেকেও এটি ছড়াতে পারে। ফাঙ্গাসটি কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত পোষক দেহ ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে।

প্রথাগত অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ দিয়ে এর চিকিৎসা করা যায় না, ফলে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যায়।

সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে জাপানের রাজধানী টোকিওর একটি হাসপাতালে রোগীর কানে এটি পাওয়া যায়। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যানডিডা অরিস পোষক দেহে কোনো ক্ষতি না করেই দিনের পর দিন অবস্থান করতে পারে।

কিন্তু যদি এর কারণে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং রক্তস্রোত বা ফুসফুসের মতো সংবেদনশীল স্থানে সংক্রমণ তৈরি করে, তবে তা মারাত্মক বিপজ্জনক হতে পারে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুঝুঁকি অত্যন্ত বেশি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা