প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৯:২৩ পিএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৯:৩৫ পিএম
আর্টেমিস মিশনে দীর্ঘমেয়াদে চাঁদে ফিরতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ছবি : সংগৃহীত
চাঁদে অভিযানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো পৃথিবী থেকে
যাবতীয় সবকিছুই চাঁদে নিয়ে যেতে হবে। কারণ রুক্ষ এই উপগ্রহে মানুষ তেমন কিছুই পাবে
না। আর এটিই চাঁদে দীর্ঘমেয়াদে মিশন চালানোর জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু বিজ্ঞানীরা
এবার অন্তত পানির ক্ষেত্রে বেশ আশার কথা শোনাচ্ছেন।
চাঁদজুড়ে ছড়িয়ে থাকা স্বচ্ছ কাচের মতো আবদ্ধ স্থানে পানির সন্ধান
পেয়েছেন বিজ্ঞানিরা। যা ভবিষ্যৎ চন্দ্রাভিযানে মানুষের জন্য সম্ভাব্য পানির উৎস হতে
পারে। এমনটিই বলা হয়েছে নেচার জিও সায়েন্সে ২৭ মার্চ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে।
চাঁদকে দীর্ঘকাল ধরেই শুষ্ক হিসেবে মনে করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক কয়েক
দশকের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে এর পৃষ্ঠে যেমন পানি রয়েছে, তেমনি খনিজ পদার্থের অভ্যন্তরেও
পানি আটকে আছে।
চাঁদের বুকে ২০২০ সালে চীনের পাঠানো রোবট চাং’ই-৫ মাটির
যেসব নমুনা সংগ্রহ করেছে, তা থেকে দেখা গেছে শিলার ভেতরে সৌরবায়ুর ক্রিয়াকলাপের কারণে
পানির অণু তৈরি হয়েছে।
সৌরবায়ু হলো পরমাণুর উপাদান প্রোটন ও ইলেকট্রন দিয়ে গঠিত হাইড্রোজেন
আইসোটপের একটি প্রবাহ, যা সূর্যকে ছাড়িয়ে সৌরজগতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকেই শিলায় থাকা
অক্সিজেনের সঙ্গে মিলিত হয়ে পানির এই বিন্দুগুলো তৈরি হয়েছে।
আর এই উপাদানই ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি মিশনের জন্য মহাকাশচারীরা যে
শুধু পানি পাবে তাই নয়, জ্বালানির উৎস হিসেবেও সৌরপ্রবাহের এ শক্তি ব্যবহার করা যাবে।
যদিও এখন পর্যন্ত চাঁদে তরল পানির সন্ধান পাওয়া যায়নি। কিন্তু এর
পৃষ্ঠে বরফের মতো আটকে থাকা যথেষ্ট পানি রয়েছে।
চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সের ইনস্টিটিউট অব জিওলজি অ্যান্ড জিওফিজিক্সের
গ্রহ বিজ্ঞানী সেন হু বলেছেন, এই বরফকে স্রেফ গরম করলেই পানি পাওয়া যাবে। আর এমনটি হলে দীর্ঘমেয়াদি মিশনে হয়তো পৃথিবী থেকে পানি নিয়ে যাওয়া লাগবে না।