প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩ ১৬:৩৩ পিএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩ ১৭:১৯ পিএম
ল্যাবে বানানো হলো বিলুপ্ত ম্যামথের মাংস। ছবি : সংগৃহীত
খাদ্যবিজ্ঞানীরা ল্যাবে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ম্যামথের মাংস তৈরি করেছেন এবং
পরে এটি দিয়ে মিটবলও বানিয়েছেন। গবেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমে অতীতের প্রোটিন দিয়ে ভবিষ্যতের
খাবার তৈরির পথ উন্মোচিত হলো।
ম্যামথ মূলত বিশালাকার লোমশ হাতির ন্যায় প্রাণী। বহু বছর আগেই এরা পৃথিবী
থেকে বিলুপ্ত হয়েছে। শীতপ্রধান এলাকাগুলোতে এদের বাস থাকায় হিমবাহের নিচে কিছু ম্যামথের
মরদেহ এমনভাবে চাপা পড়েছে, যেখানে এখনও এর ভেইনে রক্ত রয়ে গেছে। ফলে সহজেই বিজ্ঞানীরা
এর থেকে তাজা কোষ সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। অথচ একেকটি ম্যামথের দেহ হাজার বছরের পুরোনো।
সেই রকম কোষ থেকেই ডিএনএ সংগ্রহ করে, কৃত্রিম কোষবিভাজনের মাধ্যমে ল্যাবে
মাংস উৎপাদন করে এবং তা দিয়ে মিটবল বানিয়ে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে ‘নিমো’
বিজ্ঞান যাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য নিয়ে আসে কৃত্রিম উপায়ে মাংস উৎপাদন নিয়ে কাজ করা
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক সংস্থা ‘ভৌ’।
তবে এটি পুরোপুরি ম্যামথের মাংসের স্বাদ হয়তো দেবে না। এর কারণ ম্যামথের
সবচেয়ে কাছের জীবিত আত্মীয় আফ্রিকান হাতির জিন ব্যবহার করে ম্যামথ মায়োগ্লোবিনের অনুক্রমের
কিছু শূন্যস্থান পূরণ করা হয়েছে। পরে এটিকে বৈদ্যুতিক চার্জের মাধ্যমে ভেড়ার কোষে প্রবেশ
করানো হয়।
কাচের জার সরিয়ে এই অসাধারণ মিটবল উন্মুক্ত করা হলেও তা খাওয়া হয়নি। কারণ
হাজার বছরের পুরোনো প্রোটিন আধুনিক মানুষের শরীরে প্রবেশের আগে নিরাপত্তার জন্য আরও
পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার আছে। কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট
অব বায়োইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষক আর্নেস্ট উলভটাং বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে এটি খেতে চাইব না, কারণ আমরা এই প্রোটিন ৪ হাজার বছর ধরে দেখিনি। কিন্তু নিরাপত্তা পরীক্ষার পর আমি
এর স্বাদ চেখে দেখতে অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছি।’
সূত্র : সায়েন্স অ্যালার্ট