প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ১২:২৩ পিএম
উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টার সময় লঞ্চ প্যাডে স্টারশিপ। ছবি : সংগৃহীত
মানুষের
তৈরি এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় মহাকাশ যান
স্টারশিপ উৎক্ষেপণের মাত্র ৪০ সেকেন্ড আগে
স্থগিত করা হয়েছে।
স্টারশিপ
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের টেক্সাসের বোকাচিকায় অবস্থিত স্টারবেজ লঞ্চ ফ্যাসিলিটিজে সোমবার
(১৭ এপ্রিল) স্টারশিপের উৎক্ষেপণের কথা ছিল। পরীক্ষামূলক
এ যাত্রায় ছিল না কোনো
নভোচারী। এ ছাড়া সমস্ত
প্রস্তুতিই সম্পন্ন হয়েছিল। শুধু উৎক্ষেপণের আগে
স্পেসএক্সের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এটিকে থামিয়ে দেয়।
স্টারশিপ
মহাকাশে যাওয়ার পর পৃথিবীকে একবার
প্রদক্ষীণ করে সমুদ্রে ভাসমান
ড্রোন লঞ্চ প্যাডে এর
নামার কথা ছিল। আর
বুস্টারটি সয়ংক্রিয় বিশালাকৃতির রোবোটিক হাত দ্বারা ধরে
ফেলার কথা ছিল। তবে
ইলন মাস্ক এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন,
কয়েকদিনের মধ্যেই এটি আবার মহাকাশের
কক্ষপথে পাঠানোর চেষ্টা করা হবে। তবে
অন্তত তিনদিনের মধ্যে এ চেষ্টা সম্ভব
হবে বলে মনে করেন
না মাস্ক।
যদিও
উৎক্ষেপণের আগেই মাস্ক বলেছেন,
প্রথমবার অনুযায়ী মানুষ যেন খুব বেশি
প্রত্যাশা না করে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল
অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) শুক্রবার এক ঘোষণায় স্টারশিপের
মনুষ্যবিহীন ফ্লাইট উৎক্ষেপণের অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এফএএর পক্ষ থেকে বলা
হয়েছে, ‘একটি বিস্তৃত মূল্যায়ন
প্রক্রিয়ার পরে এফএএ নিশ্চিত
হয়েছে যে স্পেসএক্স সমস্ত
নিরাপত্তা, পরিবেশগত, নীতিগত, পেলোড ও তাদের আর্থিক
দায়িত্বের সবকিছুই পূরণ করেছে।’
এরই
মধ্যে স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক তার
টুইটার পেজে টেস্ট ফ্লাইটের
একটি লোগো প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এরই মধ্যে
স্টারশিপ নিয়ে স্পেসএক্সের সঙ্গে
৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। যার আলোকে আর্টেমিস
মিশনে চাঁদের মাটিতে মানুষ প্রেরণের জন্য স্টারশিপ ব্যবহার
করা হবে।
সফলভাবে স্টারশিপ যদি অরবিটালে যেতে সক্ষম হয় তবে এটিই হতে যাচ্ছে বিজ্ঞানের ইতিহাসে মহাকাশে যাওয়া সবচেয়ে বড় রকেট। যখন বুস্টারের ওপর স্টারশিপের মূল কাঠামো স্থাপন করা হয়, তখন পুরো যানটি উচ্চতায় স্ট্যাচু অব লিবার্টিকেও ছাড়িয়ে যায়। যেখানে নাসার সবচেয়ে বড় রকেট এসএলএসের উচ্চতা ৩২২ ফুট, সেখানে স্টারশিপের উচ্চতা ৩৯৪ ফুট। এসএলএস ব্লক-১-এর ইঞ্জিন চাপ উৎপন্ন করতে পারে ৮৮ লাখ পাউন্ড, বিপরীতে স্টারশিপের ইঞ্জিন চাপ তৈরি করে ১ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড।
সূত্র : সিএনবিসি