প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:২৪ পিএম
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৫৭ পিএম
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে স্টারশিপের উৎক্ষেপণ লাইভ সম্প্রচার শুরু হয়। ছবি : সংগৃহীত
অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলভাবে আকাশে উড়লেও অরবিটালে পৌঁছাতে পারেনি মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত বানানো বিশ্বের সবচেয়ে বড় রকেট স্টারশিপ। টেক্সাসের বোকাচিকায় স্পেসএক্সের নিজস্ব লঞ্চ প্যাড থেকে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি জমায় রকেটটি। কিন্তু অরবিটালে পৌঁছানোর আগেই তা বিধ্বস্ত হয়।
যদিও উৎক্ষেপণের আগেই মাস্ক বলেছেন, প্রথমবার অনুযায়ী মানুষ যেন খুব বেশি প্রত্যাশা না করে।
এর আগে গত সোমবার সকালে দক্ষিণ টেক্সাসে কোম্পানিটির বোকাচিকা লঞ্চ প্যাডে উৎক্ষেপণের মাত্র ৪০ সেকেন্ড আগে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এটি স্থগিত করা হয়। স্পেসএক্সের ব্রডকাস্ট থেকে প্রেসারাইজেশন ইস্যুকে স্থগিতের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্টারশিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের টেক্সাসের বোকাচিকায় অবস্থিত স্টারবেজ লঞ্চ ফ্যাসিলিটিজে স্টারশিপের উৎক্ষেপণের কথা ছিল। পরীক্ষামূলক এ যাত্রায় ছিল না কোনো নভোচারী। এ ছাড়া সমস্ত প্রস্তুতিই সম্পন্ন হয়েছিল। শুধু উৎক্ষেপণের আগে স্পেসএক্সের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এটিকে থামিয়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) শুক্রবার এক ঘোষণায় স্টারশিপের মনুষ্যবিহীন ফ্লাইট উৎক্ষেপণের অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এফএএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘একটি বিস্তৃত মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার পরে এফএএ নিশ্চিত হয়েছে যে স্পেসএক্স সমস্ত নিরাপত্তা, পরিবেশগত, নীতিগত, পেলোড ও তাদের আর্থিক দায়িত্বের সবকিছুই পূরণ করেছে।’
এরই মধ্যে স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক তার টুইটার পেজে টেস্ট ফ্লাইটের একটি লোগো প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এরই মধ্যে স্টারশিপ নিয়ে স্পেসএক্সের সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। যার আলোকে আর্টেমিস মিশনে চাঁদের মাটিতে মানুষ প্রেরণের জন্য স্টারশিপ ব্যবহার করা হবে।
স্টারশিপের উচ্চতা স্ট্যাচু অব লিবার্টিকেও ছাড়িয়ে যায়। যেখানে নাসার সবচেয়ে বড় রকেট এসএলএসের উচ্চতা ৩২২ ফুট, সেখানে স্টারশিপের উচ্চতা ৩৯৪ ফুট। এসএলএস ব্লক-১-এর ইঞ্জিন চাপ উৎপন্ন করতে পারে ৮৮ লাখ পাউন্ড, বিপরীতে স্টারশিপের ইঞ্জিন চাপ তৈরি করে ১ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড।