× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেতে পারে তাপমাত্রা

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৩২ পিএম

আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৫২ পিএম

আর্জেন্টিনার চিভিলকোয়ের কাছে একটি খরাক্রান্ত এলাকা।  ছবি : নিউইয়র্ক পোস্ট

আর্জেন্টিনার চিভিলকোয়ের কাছে একটি খরাক্রান্ত এলাকা। ছবি : নিউইয়র্ক পোস্ট

এপ্রিলের গা জ্বালানো গরমে হিমশিম খাচ্ছে পুরো বিশ্ব। রোজই বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। 

তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় রয়েছে আমাদের দেশেও। বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টির দেখা নেই। অসহনীয় গরমে কাহিল সবাই। 

তার মধ্যেই এক নতুন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।

তাদের ভাষ্যমতে, চলতি ও আগামী বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পাবে।

বিজ্ঞানীদের এমন আশঙ্কার খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, 'এল নিনো’র প্রত্যাবর্তন ঘটছে। আর এর প্রভাবেই বিশ্বে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। 

আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেল দেখে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, প্রশান্ত মহাসাগরে 'লা নিনা' পরিস্থিতির পর 'এল নিনো'র প্রত্যাবর্তন ঘটছে। 

লা নিনা পরিস্থিতির ফলে তাপমাত্রা কমে। আর এল নিনোর ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা হয়।

চিলি, পেরু, আর্জেন্টিনাসহ দক্ষিণ আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী দেশগুলোতে এল নিনোর আবির্ভাব ঘটে থাকে। যার প্রভাব পড়ে সারা বিশ্বের ওপর।

২ থেকে ৭ বছর অন্তর এল নিনোর আবির্ভাব ঘটে। এর ফলে মহাসাগরের পানির স্তরের (সি সারফেস) তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায়। 

এ কারণে উপকূল এলাকার বায়ুমণ্ডলও ফুঁসে ওঠে। এই পরিস্থিতির কারণে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্ত থেকে উষ্ণ পানির স্রোত মহাসাগরের পূর্বদিকে ধেয়ে যায়। 

এতে পূর্ব উপকূলের সেই উষ্ণ পানি মহাসাগর সংলগ্ন স্থলভাগের বিভিন্ন দেশের বহু এলাকার তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। 

ওই সময় সমুদ্রের তলদেশ থেকে ঠান্ডা পানিও ওপরে উঠে আসতে পারে না।

ফলে সেখানকার সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির স্তর ঠান্ডা হওয়ার সুযোগই পায় না।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের ডিরেক্টর কার্লো বুয়োনটেম্পো জানিয়েছেন, 'বিশ্বে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সংযোগ রয়েছে ওই এল নিনোর। তবে সেটা ২০২৩ বা ২০২৪ সালে হবে কি না, তা জানা যায়নি এখনও। তবে এই পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।'

অতীতে ২০১৬ সাল ছিল বিশ্বের উষ্ণতম বছর। এল নিনো'র জেরে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল ভারতকেও। ২০১৫ সালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। 

বৃষ্টির পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল সে সময়। চলতি বছরে দেশের একাংশে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। 

সূত্র : নিউইয়র্ক পোস্ট

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা