প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১৬ পিএম
জিওগ্রাফিক্যাল রিসার্চ লেটার্স জার্নালে বুধবার (৩ আগস্ট) প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুসারে ঘটনাটি শনাক্ত হয় ২৮ অক্টোবর ২০২১ সালে। ছবি : সংগৃহীত
এই প্রথমবারের মতো পৃথিবী, চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে একসঙ্গে আঘাত হানা সৌরঝড়ের
বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট প্রবাহ শনাক্ত করেছেন জ্যোতির্বিদরা। ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদন
অনুসারে, সৌর ঝড়ের বিস্তৃতি এতোই বড় এলাকা জুড়ে ছিল যে চাঁদ, মঙ্গল ও পৃথিবীতে সৌরঝড়ের
ফলে সৃষ্ট ইনফ্লাক্স এনার্জেটিক পার্টিকল ছড়িয়ে পড়ে।
জিওগ্রাফিক্যাল রিসার্চ লেটার্স জার্নালে বুধবার (৩ আগস্ট) প্রকাশিত
গবেষণাপত্র অনুসারে ঘটনাটি শনাক্ত হয় ২৮ অক্টোবর ২০২১ সালে।
গবেষকরা বলছেন এটি একটি বিরল ঘটনা। আপাতত এ ধরনের ঘটনায় মানবদেহে
কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা নেই। কারণ পৃথিবীর যেই চুম্বকীয় ক্ষেত্র রয়েছে তা
সৌর বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট ছড়িয়ে পড়া পার্টিকল থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে সক্ষম।
যদিও ছড়িয়ে পড়া পার্টিকল (কণা) নিয়ে গবেষণা ভবিষ্যতের প্রয়োজনেই দরকার।
মানুষ নিকট ভবিষ্যতে চাঁদে ও মঙ্গলে স্থায়ী বসতি গড়তে চাইছে। আর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটি
তৈরিই হয় বায়ুমন্ডলের কারণে।
চাঁদের যেহেতু বায়ুমণ্ডল নেই -তাই চৌম্বকক্ষেত্রও নেই, সূর্য থেকে
ছড়িয়ে যাওয়া পার্টিকেল সরাসরি সেখানে পতিত হয়। তাই ভবিষ্যৎ চন্দ্রাভিযানের জন্য মানবদেহে
এর প্রভাব বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ৭০০ মিলিগ্রেসের ওপর বিকিরণ ডোজ মহাকাশচারীদের
বিকিরণ অসুস্থতা প্ররোচিত করতে পারে। এতে হাড় ও অস্থিমজ্জার ক্ষতি হতে পারে -এমনকি
অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও হতে পারে।
তবে ২০২১ সালের অক্টোবরে সৌরঝড়ের কারণে চন্দ্রের কক্ষপথে বিকিরণের
মাত্রা ছিল ৩১ মিলিগ্রেস। যা মহাকাশচারীদের জন্য মোটেও বিপজ্জনক নয়। যদিও সংশ্লিষ্ট
গবেষকরা বলছেন, প্রতি ৫.৫ বছরে একবার সৌর ইভেন্টে বিকিরণের মাত্রা বিপজ্জনক সীমা ছাড়িয়ে
যেতে পারে। তাই এটি নিয়ে গবেষণা ভবিষ্যতে চাঁদে ক্রু মিশনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অপরদিকে মঙ্গল গ্রহের পাতলা বায়ুমণ্ডল কেবল নিম্ন শক্তির সৌরঝড় বিকিরণ
থেকেই রক্ষা করতে পারে, যদিও উচ্চ শক্তির বিকিরণকেও তার ধীর ক্ষমতা রয়েছে। সেখানেও
মানবদেহে এর প্রভাব বুঝতে গবেষণার দরকার রয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি