প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৪৭ এএম
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৫৬ পিএম
এর আগে শূকরের হৃৎপিণ্ডও মানবদেহে স্থাপন করা হয়েছিল। ছবি : সংগৃহীত
মানবদেহে শূকরের কিডনি ব্যবহারে সফলতা পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক
ইউনিভার্সিটি ল্যাঙ্গোনের ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইনস্টিটিউটের সার্জনরা।
বুধবার এক ঘোষণায় ইউনিভার্সিটির চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শূকরের দেহ
থেকে কিডনি সংগ্রহ করে একজন ব্রেন ডেড (মস্তিষ্ক অচল) ব্যক্তির দেহে স্থাপনের এক মাস
পরও তা স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে। দ্বিতীয় মাসেও তারা এটিকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখবেন।
মরিস মো নামে ৫৭ বছর বয়সি এক ব্যক্তির দেহে এটি স্থাপন করা হয়। তিনি
ব্রেন ডেড হওয়ার পর তার পরিবার বিজ্ঞানের জন্য তার দেহকে দান করে দেয়।
তবে এ কিডনি সাধারণ কোনো শূকর থেকে সংগ্রহ করা হয়নি। এটি বিশেষ বৈজ্ঞানিক
প্রক্রিয়া জিন এডিটিংয়ের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শূকর থেকে সংগৃহীত। এর মাধ্যমে শূকরটি
থেকে এমন জিন বাদ দেওয়া হয়, যা মানবদেহের ইমিউন সিস্টেম (প্রতিরোধী ব্যবস্থা) আক্রমণ
করে এবং মানবদেহে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে।
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এ ক্রস অঙ্গ প্রতিস্থাপনগুলো যারা সম্ভাব্য
জীবন রক্ষাকারী অঙ্গগুলোর জন্য অপেক্ষা করছেন, এমন ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদান করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ১ লাখ ৩ হাজারের বেশি রোগীর অঙ্গ প্রতিস্থাপন
প্রয়োজন। এর মধ্যে ৮৮ হাজারের দরকার কিডনি। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ কেবল অঙ্গের
অপেক্ষায় মারা যায়। তাই এ গবেষণায় অগ্রগতি ভবিষ্যতে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় থাকা
ব্যক্তিদের জন্য নতুন আশার আলো হতে পারে।
শুধু নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিই নয়, এ-সংক্রান্ত গবেষণায় সফলতা পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের বাকিংহাম ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। একই দিনে এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেন, তাদের প্রতিস্থাপিত মানবদেহে শূকরের কিডনি সাত দিন ধরে স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র : আলজাজিরা