প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১০:৩৫ এএম
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১১:১১ এএম
ফুকুশিমার পানি ছাড়ার প্রতিবাদে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমাবেশ। ছবি : সংগৃহীত
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের
তেজস্ক্রিয়যুক্ত ১০ হাজার মেট্রিক টন পানি সমুদ্রে ছাড়া শুরু করবে জাপান।
টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির (টেপকো) প্ল্যান্ট অপারেটর বৃহস্পতিবার
(২৪ আগস্ট) বলেছে, আবহাওয়া ও সমুদ্রের অবস্থা উপযুক্ত হলে স্থানীয় সময় দুপুর ১টায়
প্রশান্ত মহাসাগরে তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়া শুরু হবে।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ
করবে এবং যে সীমায় পানি ছাড়া হচ্ছে, সেখান থেকে পানি ও মাছের নমুনা সংগ্রহ করবে।
জাপান বলেছে, ট্রিটিয়াম ছাড়া সব তেজস্ক্রিয় উপাদান এই পানি থেকে অপসারণ
করা হয়েছে। তবে ট্রিটিয়াম পানি থেকে অপসারণ কঠিন। তবে পানির নির্গমন নিরাপদ এবং আন্তর্জাতিক
পারমাণবিক শক্তি সংস্থাও (আইএইএ) বিষয়টি সমর্থন করেছে।
গেল জুলাইয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইএইএ জানিয়েছে, এই
তেজস্ক্রিয় পানির নির্গমন নিরাপদ। পরিকল্পনাটি আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেছে এবং মানুষ
ও পরিবেশের ওপর এর প্রভাব খুবই নগণ্য।
জাপান সরকার কর্তৃক দুই বছর আগে অনুমোদিত এ পরিকল্পনাটিকে ২০১১-এর
মার্চে সুনামিতে বিধ্বস্ত এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিলুপ্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ
পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি প্ল্যান্ট অপারেটর
টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানিকে (টেপকো) পানি নিষ্কাশনের জন্য দ্রুত প্রস্তুতি
নিতে বলেছিলেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২৪ আগস্ট পানি ছাড়া শুরু হবে।
জাপানের প্রতিবেশী দেশ, বিশেষ করে চীন পরিকল্পনাটির নিরাপত্তা নিয়ে
সংশয় প্রকাশ করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছিলেন,
এ পরিকল্পনায় জাপান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করেনি। এর মাধ্যমে দেশটি
স্বার্থপরতা ও ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মীরাও এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন,
যদিও সিউল তার নিজস্ব গবেষণা থেকে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে পানির মুক্তি আন্তর্জাতিক
মান পূরণ করেছে।
তেজস্ক্রিয় পদার্থ অপসারণের জন্য পানিকে ফিল্টার করা হয়েছে। যদিও
ট্রিটিয়ামের কিছু চিহ্ন অবশিষ্ট রয়েছে। ট্রিটিয়াম হলো হাইড্রোজেনের একটি আইসোটোপ
যা পানি থেকে আলাদা করা কঠিন। তবে টেপকোর মতে, এর মাত্রা আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত
মাত্রার নিচেই।
তবে এনভায়রনমেন্টাল প্রেশার গ্রুপ গ্রিনপিস বলেছে, পরিস্রাবণ প্রক্রিয়াটি ত্রুটিপূর্ণ এবং আগামী কয়েক দশকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়বে।
সূত্র : আলজাজিরা