প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪০ পিএম
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:০২ পিএম
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের দেশ ফায়েরো দ্বীপপুঞ্জে ২০১৫ সালে পূর্ণ সূর্যগ্রহণের দৃশ্য। ছবি : সংগৃহীত
উত্তর ও মধ্য-আমেরিকার প্রায় তিন কোটি ১৫ লাখ মানুষ আজ সোমবার পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে। স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর সিনালোয়া রাজ্যে বিরল এ সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। সূর্যকে বাম থেকে ডানে প্রদক্ষিণ করে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি রাজ্য অতিক্রম করে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডে এটা শেষ হবে।
পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দুর্লভ। আমেরিকায় সর্বশেষ পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়েছিল ২০১৫ সালে। পরবর্তী পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হবে ২০৪৪ সালে। অর্থাৎ ২০ বছর পর।
চাঁদ যখন সূর্যের কক্ষপথে চলে আসে তখন পৃথিবীতে সূর্যকিরণ আসতে পারে না। পৃথিবীতে এসে পড়ে চাঁদের ছায়া। এটাকেই বলা হয় সূর্যগ্রহণ।
মেক্সিকো থেকে কানাডার ১৮৫ কিলোমিটারজুড়ে এবার যে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাচ্ছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্যাথ অব টোটালিটি’। কোনো ব্যক্তি এ পথের কোনো অংশে থাকছে সেটার ওপর নির্ভর করছে সে কতক্ষণ পূর্ণ সূর্যগ্রহণের অভিজ্ঞতা লাভ করবে।
নাসার তথ্যমতে, এবার সর্বোচ্চ চার মিনিট ২৮ সেকেন্ড সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে মেক্সিকোর নাজাস শহরে।
পূর্ণ সূর্যগ্রহণের আগে প্যাসিফিকের দেশ কুক আইল্যান্ডস এবং পরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কোনো কোনো শহরে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় দিনকে সন্ধ্যা বা ভোরের মতো মনে হবে। সূর্যের চারদিকে অনুজ্জ্বল আলোরমালা বা সূর্যমুকুট দেখা যাবে, যা করোনা নামে পরিচিত।
খালি চোখে, এমনকি সাধারণ রোদ চশমা দিয়েও গ্রহণ চলাকালে সূর্যের দিকে তাকানো নিষেধ। সূর্যগ্রহণ দেখার বিশেষ চশমা দিয়েই তা দেখতে হয়। নতুবা চোখের ক্ষতি হয়।
সূত্র : নাসা, বিবিসি