আমিরুল আবেদিন
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৫০ পিএম
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি পাওয়া অমর একুশে আজ সারা বিশ্বে উদযাপিত হচ্ছে। ভাষাকে কেন্দ্র করে এই উদযাপন আসলে বাঙালির অর্জন হিসেবেই দেখতে হবে। তো ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঘটে যাওয়া ভাষার জন্য সে আন্দোলনের পটভূমিকা ঘিরে রয়েছে আলাদা আলাদা অনেক ঘটনা। সেসব ঘটনারই বিবরণ এখানে তুলে ধরা হলো-
একুশের প্রথম শহীদ মিনার
একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত প্রহরের দুই দিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তৈরি করেন প্রথম শহীদ মিনার। সাঈদ হায়দার ছিলেন ওই শহীদ মিনারের নকশাকার। কিন্তু মুসলিম লীগ সরকার অচিরেই এই স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস করে দেয়। এক স্তম্ভের অন্তর্নিহিত অমিতশক্তিকে এত ভয়! একুশের পর ২২ তারিখও ছিল উত্তপ্ত। তবে ২৩ ফেব্রুয়ারি দিনটি ছিল অপেক্ষাকৃত শান্ত। ‘শহীদ স্মৃতি অমর হোক’ স্লোগানে আবারও উপস্থিত তরুণরা। শহীদদের শেষকৃত্য করতে না পারার গ্লানি পোষাতেই শহীদ মিনার গড়ার পরিকল্পনা শুরু। সিদ্ধান্ত হয় শোরগোল নয় যথাসম্ভব নিভৃতে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতের মধ্যেই নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে। আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তে নিভৃতচারিতার কথা থাকলেও রাজনীতিসচেতন শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্রুত খবরটি পৌঁছে যায়। কিন্তু এক রাতে তো এ নির্মাণকাজ অসম্ভব। নকশা, মজুর আর প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই। তবে, মানসিক প্রস্তুতি এবং দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কাজটি ঠিকই হয়ে যায়। সহজসরল স্থাপত্য হলেও এর অন্তর্নিহিত বক্তব্য ছিল হৃদয়গ্রাহী। নিম্নাংশের আকারটা বড় করা হয় যেন বোঝানো যায় ভাষাশহীদদের নির্ভীক সাহসিকতা। আর স্মৃতির মিনারের উঁচু চূড়া জানায় শত বাঘাবিঘ্নেও মাথা নোয়ানো যাবে না। রাতভর কাজ করা ছাত্রকর্মীদের কয়েকজন আজ বার্ধক্যপীড়িত এবং অধিকাংশই প্রয়াত। তবে এই শহীদ মিনার এক অসাধ্য সাধন করেছিল। ছাত্র আন্দোলনটি গণ-আন্দোলনের পথ উৎসারিত করে দিয়েছিল।
একুশের প্রথম লিফলেট
লিফলেটকে বলা হয় ফোকলোরের অনুষঙ্গ। সামাজিক জীবনে অপ্রাতিষ্ঠানিক বলে স্বীকৃত উপাদান-উপকরণ যদি ফোকলোরের উপকরণ হয় তবে লিফলেট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণই বটে। এখনও যেকোনো প্রচার-প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে লিফলেট। একুশেও ছিল লিফলেট। একুশে ফেব্রুয়ারির বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় একটা কিছু করার তাগিদে ওই দিনই সন্ধ্যায় আলাউদ্দিন আল আজাদ, মুস্তফা নূরউল ইসলাম, ফজলে লোহানী, হাসান হাফিজুর রহমান প্রমুখ পাটুয়াটুলীর সওগাত অফিসের বিপরীত গলিতে পাইওনিয়ার প্রেসে যান। সেখানে তারা মাত্র দুই ঘণ্টা সময় পেয়েছিলেন। মাত্র দুই ঘণ্টা সময়কে পুঁজি করেই তারা কয়েকটি প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখে ফেলেন। লিফলেট লেখার ওই মুহূর্তে বুলেটিনটাও আচমকাই তৈরি হয়ে যায়। ‘বিপ্লবের কোদাল দিয়ে আমরা অত্যাচারী, শাসকগোষ্ঠীর কবর রচনা করব।’ বুলেটিনে লিখেছিলেন আলাউদ্দিন আল আজাদ এবং লিফলেট ছাপানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন হাসান হাফিজুর রহমান। এ বিষয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে হাসান হাফিজুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমি, আমীর আলী (লন্ডনপ্রবাসী) আর একজন আমার সঙ্গে ছিল। আমরা তিনজন জেলখানার উল্টো দিকে ক্যাপিটাল প্রেসে চলে যাই। সেখানে ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে প্রুফ দেখে লিফলেটটি ছাপিয়ে আনি। প্রেসটি সেদিন আমাদের সর্বাত্মক সহায়তা করে।’
ভাষা আন্দোলনের কয়েকজন কর্মীর মাধ্যমে লিফলেটটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পলাশী এলাকায় বিলি করানো হয়। এভাবেই ভাষার প্রথম শহীদ মিনার বানানোর পাশাপাশি জনমত গঠন করতে থাকেন ভাষা আন্দোলনের কর্মীরা।
একুশের প্রথম কবিতা
২১ ফেব্রুয়ারি সকালে সারা দেশ উদ্বিগ্ন। ঢাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়। রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে মিছিল নামবে– এ কথা সবার জানা। তার আগে রাতে মাহবুব উল আলম চৌধুরী তখন রোগশয্যায় শায়িত অবস্থায় এ খবর জানতে পেরেছিলেন। জলবসন্তে আক্রান্ত কবির সারা শরীরে গুটি গুটি বসন্ত। ক্লান্ত-অবসন্ন কবি রোগশয্যা থেকে উঠে দাঁড়ালেন। সারা রাত জেগে রইলেন অবসন্ন শরীরে। কিন্তু কবির মাথায় শব্দের ঝড় আর এতদিনের পুঞ্জিভূত সব ক্রোধ যেন ঢেলে দিতে চাইলেন। সারা রাত জেগে লিখলেন, ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’। একুশের প্রথম কবিতা। যেখানে একুশকে ধরে কবি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। ফলে এই কবিতা এক অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠল। ২৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে এক প্রতিবাদ সভায় প্রথমবারের মতো কবিতাটি পাঠ করলেন কবির সতীর্থ চৌধুরী হারুণ-উর-রশীদ। এ কবিতার সাংস্কৃতিক প্রভাব ঠিকই টের পেয়েছিলেন তৎকালীন শাসকরা। কবির ওপর হুলিয়া জারি করা হলো। ঠিক এভাবেই কবিতাটি এবং কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীকে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে দেয়। ব্যক্তিগত দুঃখ-বেদনা যখন জাতীয় ঘটনাবলির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে শুরু করে তখন সরল-চাতুর্যহীন পঙ্ক্তি বের হয়ে আসে। এভাবেই মানবজীবনের এক অবিস্মরণীয় মুহূর্তকে কেন্দ্র করে লেখা প্রগতিশীল রাজনৈতিক দর্শনের প্রতীক হিসেবে সমাদৃত হলো কবিতাটি। একুশের প্রথম কবিতাটি বিভিন্ন দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। এই কবিতা ভাষা আন্দোলনের মেজাজটিকে ধারণ করেছিল। কবিতাটিতে তিনি একুশের প্রতিজ্ঞাকেই প্রাধান্য দিয়ে বলেন– এখানে যারা প্রাণ দিয়েছে/ রমনার ঊর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার তলায়/ যেখানে আগুনের ফুলকির মতো/ এখানে ওখানে জ্বলছে অসংখ্য রক্তের ছাপ/ সেখানে/ আমি কাঁদতে আসিনি।/ আজ আমি শোকে বিহ্বল নই/ আজ আমি ক্রোধে উন্মত্ত নই/ আজ আমি প্রতিজ্ঞায় অবিচল।
এমনকি কবিতাটিতে কবি যেন ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হয়ে উঠেছিলেন, ‘খুনি জালিমদের নিপীড়নকারী কঠিন হাত/ কোনো দিনও চেপে দিতে পারবে না/ তোমাদের সেই লক্ষ্য দিনের আশাকে/ যেদিন আমরা লড়াই করে জিতে নেব/ ন্যায়নীতির দিন/ হে আমার মৃত ভাইরা/ সেই দিন নিস্তব্ধতার মধ্য থেকে/ তোমাদের কণ্ঠস্বর/ স্বাধীনতার বলিষ্ঠ চিৎকার/ ভেসে আসবে।’ ভাষা আন্দোলনের সময়ে স্বাধীনতার সূর্যের আলোকপ্রভা চিনি দেখতে পেয়েছিলেন বোধ হয়। একুশের প্রথম কবিতাটি থেকে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনার বীজ ওই সময়ে সুপ্ত কীভাবে ছিল তার আভাস আমরা এখনও টের পাই।
একুশের প্রথম গান
ভাষা আন্দোলনের সূচনা ১৯৪৮ সাল থেকেই। সে সময় একদিকে রাজনৈতিক প্রতিবাদ-সংগ্রাম এবং অন্যদিকে এই রাজনৈতিক ধারাকে বেগবান করার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক ধারা সমানতালে চলমান ছিল। ওই পরিপ্রেক্ষিতে বহু ভাষার গান রচিত হয়েছে। এসব গানের মধ্যে প্রথম উল্লেখযোগ্য গানটি রচিত হয় ১৯৪৮ সালে। কবি ও গীতিকার অধ্যাপক আনিসুল হক চৌধুরী ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ নামে একটি গান রচনা করেন। তবে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারির পর একুশের প্রথম গান রচনা করেন ভাষাসৈনিক গাজীউল হক। গানটির প্রথম চরণ ‘ভুলব না, ভুলব না, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’। ’৫৩ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি আরমানিটোলা ময়দানে আয়োজিত এক জনসভায় গানটি প্রথম গাওয়া হয়। ১৯৫৩-৫৪ সাল পর্যন্ত ওই গানটি গেয়েই প্রভাতফেরি করা হতো। গানটির সুরকার ছিলেন গাজীউল হক নিজেই। সমসাময়িক প্রায় সব কবিই একুশ নিয়ে গান লিখেছেন। যুগের পরিবর্তনে সব গান আর মানুষের মুখে মুখে টিকে থাকেনি।
কিন্তু একুশের গানের কথা বললেই এক অনিন্দ্যসুন্দর গানের কথা সবার মানসপটে সবার ‘প্রথম’ গুনগুনিয়ে ওঠে। গানটি লিখেছিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি তখন ঢাকা কলেজের ছাত্র। একুশে ফেব্রুয়ারি পুলিশ মিছিলের ওপর গুলি চালিয়েছে এ খবর তিনি পেয়েছিলেন। শুনেছিলেন কয়েকজন মারাও গেছে। অস্থিতিশীল মুহূর্তে তরুণদের ভেতর টগবগ করে ফুটতে থাকা কৌতূহল থেকেই তিনি ঢাকা মেডিকেল মর্গে পৌঁছে যান। সেখানে গেটের সামনে একটি লাশ দেখতে পান। এ লাশটি একুশের প্রথম শহীদ রফিকউদ্দিন আহমদের। লাশটি দেখে তার কাছে মনে হয়, এটা যেন তার নিজেরই ভাইয়ের রক্তমাখা লাশ। সঙ্গে সঙ্গে তার মনে গানের প্রথম দুইটি লাইন জেগে ওঠে। ওই মুহূর্তে জন্ম নেওয়া গানটিকে তিনি মাথায় গেঁথে ফেলেন। পরের কদিন তিনি মগ্ন থাকেন পুরো গানটি লেখার জন্য। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয় একটি লিফলেটে। সেখানে ‘একুশের গান’ শিরোনামে কবিতা আকারে ছাপা হয়েছিল গানটি। ১৯৫৩ সালে ‘একুশে সংকলনে’ও এটি স্থান পায়। প্রথমে আবদুল লতিফ গানটিতে সুর করেন। তবে পরে আলতাফ মাহমুদের করা সুরটিই বেশি জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৫৪ সালের প্রভাতফেরিতে প্রথম গাওয়া হয় আলতাফ মাহমুদের সুরে গানটি। গানটি এ সময়ে এসে কালোত্তীর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু যে বাংলা ভাষায় গানটি গাওয়া হয় তা-ই নয়। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর এই গানটি বর্তমানে হিন্দি, মালয়, ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, জাপানিসহ ১২টি ভাষায় গাওয়া হয়।
একুশের প্রথম নাটক
ভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকার অপরাধে ’৫৩ সালে কারাগারে আটক মুনীর চৌধুরীসহ আরও অনেক বুদ্ধিজীবী। এতদিন ভাষা আন্দোলন নিয়ে সক্রিয় থাকার পর বন্দিজীবনে মুনীর চৌধুরীর কিছু করার ছিল না। তবে তার আগে সৃষ্টিশীলতার ঘূর্ণি ঠিকই ঘুরপাক খাচ্ছিল। ’৫২-এর ১৭ জানুয়ারি মুনীর চৌধুরীর কাছে এক অসাধারণ প্রস্তাব এলো চিঠি হয়ে। আরেক রাজবন্দি রণেশ দাশগুপ্ত চিঠিতে মুনীর চৌধুরীকে একটি নাটক লেখার অনুরোধ করেছিলেন। ভাষাশহীদদের স্মরণে এ নাটকটি তারা কারাগারে রাজবন্দিদের দ্বারা মঞ্চস্থ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেছিলেন– “জেলখানাতে নাটক রচনার অসুবিধা অবশ্যই ছিল। এ অসুবিধাটুকু সামনে ছিল বলেই তো ‘কবর’ নাটকটিতে বেশ কিছু নতুনত্ব আনতে হয়েছে। আট-দশটি হারিকেন দিয়ে সাজাতে হবে, সে কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই কবর নাটকটিতে আলো-আঁধারি রহস্যময় পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।”
পরিকল্পনা অনুসারে জেলখানাতেই নাটকটি মঞ্চায়ন করা হয়। কবর নাটকটি লেখার জন্য অল্প সময় পেয়েছিলেন মুনীর চৌধুরী। তবে জেলখানায় অফুরন্ত আলস্য সময়ের পর আবার এমন কাজের সুযোগ তিনি হাতছাড়া করেননি। ব্যঙ্গাত্নক জীবন জিজ্ঞাসার আঙ্গিকে তিনি কবর নাটকে দেখান লাশ গুমের ঘৃণ্য রাজনীতি। সত্যিই তো! ভাষা আন্দোলনে বহু মানুষ শহীদ হলেও অল্প কজনের পরিচয় আমরা জানতে পেরেছিলাম; কত শত লাশ গুম করা হয়েছিল, তার প্রকৃত হিসাব কি আজও আমরা জানতে পেরেছি! ওই সময়ে মুনীর চৌধুরী এ বিষয়টি শনাক্ত করতে পেরেছিলেন। পরবর্তী প্রজন্মকে এ জানার দায়টি কাঁধে নেওয়ার সংকেতও বোধ হয় দিয়েছেন। সম্ভবত সেজন্যই নাটকটির সমগ্র ঘটনাস্থল ছিল গোরস্তান। বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শেষ চিহ্নটুকু ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার নয়। এমনকি একুশের প্রথম শহীদ মিনারের নকশাকার সাঈদ আনোয়ারও একবার বলেছিলেন– ‘শহীদদের মৃতদেহগুলো অন্যদের চোখের আড়ালে হাসপাতালের একাধিক ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। আলমগীরসহ মেডিকেল কলেজের কতিপয় ছাত্রের ওপর এদের পাহারা দেওয়ার ভার ছিল। ইচ্ছা ছিল আমরাই মৃতদেহগুলোর শেষকৃত্য সমাপন করব। কিন্তু মধ্যরাতের পরে কোনো এক অসতর্ক মুহূর্তে তাদের দৃষ্টি এড়িয়ে একুশের শহীদদের লাশ পুলিশ গোপনে নিয়ে যায় এবং আজিমপুর কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করে।’
লেখক : সাংবাদিক