× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বাংলাদেশের ডোম ও ডোমাই ভাষা

রঞ্জনা বিশ্বাস

প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:০৪ পিএম

রঞ্জনা বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

রঞ্জনা বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

ডোমাই ভাষা ডোম জনগোষ্ঠীর ভাষা বলে পরিচিত হলেও আরও অনেকেই এ ভাষায় কথা বলে। এ ভাষার কোনো লিখিত রূপ নেই। এ ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠী মূলত পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক। এদের মধ্যে শিক্ষার হার সম্প্রতি বাড়লেও এ ভাষাচর্চার কোনো সুযোগ না থাকায় বর্তমান প্রজন্ম এ ভাষায় আর কথা বলে না। এমনকি এ ভাষায় ডোমদের নিজস্ব কোনো সাহিত্যও রচিত হয়নি। তা ছাড়া বাংলাদেশের যেসব আদিবাসী ভাষা আছে বলে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে, তাতেও ডোমাই ভাষার নাম পাওয়া যায় না। ফলে এটা পরিষ্কার, ডোমাই ভাষা সম্পর্কে গবেষকরা ওয়াকিবহাল ছিলেন না।

কাজেই এ ভাষার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নির্ণয় এবং অন্যান্য ভাষার সঙ্গে এর তুলনামূলক আলোচনাও কোথাও হয়নি। ফলে ডোমাই ভাষার উৎস অনুসন্ধান অনেকটা জটিল এবং দুঃসাধ্য। গবেষকরা বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, পৃথিবীর অন্যতম চারটি ভাষা পরিবারের প্রায় ৩৫ থেকে ৪০টি ভাষা এখানে রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ভাষাকে স্বতন্ত্র বা আলাদা না বলে গবেষকরা ‘উপভাষা’ বলে মত দিয়েছেন যেমন- তঞ্চঙ্গ্যা ভাষাকে বলছেন চাকমা ভাষার উপভাষা; রাখাইন মারমা ভাষার উপভাষা, লালং বা পাত্র হচ্ছে গারো ভাষার উপভাষা; বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি এবং হাজং বাংলা ভাষার উপভাষা বলে চিত্রিত। এ প্রসঙ্গে ডোমাই কি সত্যি কোনো আলাদা ভাষা নাকি উপভাষা, জানতে হলে আমাদের ডোমাই ভাষাভাষীর বসতি অঞ্চল সম্পর্কে ধারণা রাখা দরকার।

ডোম সম্প্রদায়ের প্রাচীন বসতি এলাকা ঠিক কোথায় ছিল তা বলা কঠিন। গবেষকের অনেকে মনে করেন, তাদের আদিনিবাস মূলত ভারতের উত্তর প্রদেশ। এ ছাড়া বিহার, ওড়িশায়ও তাদের বসতি ছিল। নীহাররঞ্জন রায়ের মতে, প্রাচীন বঙ্গ জনপদের অধিবাসীদের সঙ্গে ডোমরা এখানে বসবাস করত। আর সেকালে বঙ্গের পরিধি ছিল বর্তমান বাংলা, বিহার, ওড়িশা জুড়ে। মুঘল ও ব্রিটিশ শাসনামলেও বঙ্গদেশ বলতে প্রাচীন এই সীমানা নির্দিষ্ট ছিল। অর্থাৎ ভাগীরথী নদীর পুব দিকের অংশ ছিল বঙ্গ। ‘১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার আয়তন ছিল পাঞ্জাবের পূর্ব সীমান্ত থেকে ব্রিটিশ ব্রহ্মের সীমান্ত পর্যন্ত। অর্থাৎ যুক্ত প্রদেশ, বিহার, ওড়িশা ও আসাম বাংলারই অন্তর্ভুক্ত ছিল।’ (বাংলা ও বাঙালির বিবর্তন, অতুল সুর, সাহিত্যলোক, কলকাতা-২০০৮, পৃ. ৩১) কাজেই সেই বিচারে ডোমদের বঙ্গের অধিবাসী বলে উল্লেখ করা যায়। ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দের আদমশুমারির বিবরণে ডোমদের স্বতন্ত্র ভারতীয় আদিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন সেনসাস কমিশনাররা। দেখা গেছে, সেই তালিকাগুলোয় হাড়ি, দোসাদ, তুরি, কোচ, প্যারিয়া, বাগদি প্রভৃতি জাতির উল্লেখ রয়েছে।

তবে উত্তর ভারতে ডোমদের অবস্থান একেবারেই তুচ্ছ নয়। ডোমদের বসতি এলাকা সম্পর্কে স্যার এইচ এলিয়ট অযুধের কাছে রোহিণী নদীর তীরবর্তী অঞ্চল ও গোরখপুরের কথা উল্লেখ করেন। এইচ এইচ রিজলেও একই মত পোষণ করেন। প্রাচীনকালে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ছিল। তা ছাড়া আর্যপূর্ব যুগে জাতিভেদ প্রথা প্রবল আকার ধারণ করেনি। ফলে হাড়ি, ডোম, বাগদি প্রভৃতি জাতির মধ্যে যোগাযোগের কোনো প্রতিবন্ধকতাও ছিল না। কাজেই অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর চেয়ে ডোমদের সঙ্গে হাড়ি, বাগদি, বাউড়ি প্রভৃতি জাতির নাম সমান্তরালভাবে উচ্চারিত হতে দেখি এবং এদের প্রায় সবারই বাসস্থান নিকটবর্তী অঞ্চলে। পরে এরা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ডোমরাও বিহার, বিহারের মুঙ্গের, দ্বারভাঙ্গা, ওড়িশা, উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা, সাহারান, বারাণসী, গোরখপুর প্রভৃতি এলাকা থেকে কালক্রমে দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, পাবনাসহ আরও নানান স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ১৮৭২ সালের আদমশুমারি প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডোমরা উপর্যুক্ত এলাকা ছাড়াও ২৪ পরগনা, নদীয়া, বরিশাল, ঢাকা, হুগলী, মেদিনিপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, রংপুর, ভাগলপুর, হাজারীবাগ, লোহারদাগা, গয়া, পাটনা, তিরহাট, চম্পারণ, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ত্রিপুরা, সিংভূম ও মানভূম এলাকায় ছড়িয়ে আছে।

বাংলাদেশে ডোমরা বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে। তারা মূলত বিভিন্ন জেলার হাসপাতালসংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে। প্রায় সব জেলায় সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। ফলে ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, যশোর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ঝিনাইদহ, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নীলফামারী, সিলেট, কুমিল্লাসহ ৬৪ জেলায়ই কমবেশি ডোমদের অবস্থিতি আছে। এই ডোমদের মধ্যে ‘উত্তরাইয়া ডোম’রা ২১ জেলায় বাস করে। বাংলাদেশের ডোমেরা মূলত মঘাইয়া ও উত্তরাইয়া ডোম বলে পরিচিত। তবে ‘বাঁশফোর’রা নিজেদের ডোম বলে পরিচয় দিলেও উত্তরাইয়া ও মঘাইয়ারা তাদের ডোম বলে পরিচয় দেয় না।

বাংলাদেশে বসবাসরত অধিকাংশ ডোমের নিজস্ব জমিজমা বা বাড়িঘর নেই। তারা সরকারিভাবে পাওয়া কলোনিগুলোয় বংশপরম্পরায় বসবাস করে আসছে। আবার অনেকে সামর্থ্যের মধ্যে ভাড়া বাড়িতে পরিবার-পরিজন নিয়ে কালাতিপাত করে। ডোমরা সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করতে পছন্দ করে। নিজেদের মধ্যে তারা দেশওয়ালি ভাষা তথা ডোমাই ভাষায় কথা বলে। বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ডোমদের আলাদা সমাজ-সংস্কৃতি-ভাষা থাকলেও তাদের ভাষার কোনো বর্ণমালা নেই। জাতিগতভাবে ডোমরা বাঙালিদের মতো অস্ট্রিক গোত্রভুক্ত। যেহেতু বাংলাদেশে বসবাসকারী ডোমদের ভাষা নিয়ে এর আগে কোনো গবেষণা হয়নি তাই এ ভাষা বিষয়ে স্থির কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হলে তাদের ব্যবহৃত ভাষাকে বিশ্লেষণ করতে হবে। এ ভাষা বাংলাদেশের অন্য অধিবাসীদের ভাষা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন॥ ডোমাই ভাষার কোনো লিপি নেই, এমনকি এ ভাষায় লিখিত কোনো নিদর্শনও নেই। বয়স্ক ব্যক্তিরা নিজেদের ডোমাইভাষী বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। শিক্ষিতরা একে বলেন দেশওয়ালি ভাষা। কেউ কেউ বলেন ভোজপুরি। তবে তারা ডোমাই ভাষাকে যে নামেই ডাকুন না কেন, তারা নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যাপারে বেশ রক্ষণশীল।

ডোমাই ভাষা পরিবার
যেহেতু ডোমাই ভাষা নিয়ে এখন পর্যন্ত এ দেশে কোনো গবেষণা হয়নি তাই এ ভাষার উৎস কোন ভাষা পরিবার থেকে কিংবা কোন ভাষাগোষ্ঠী থেকে ডোমাই ভাষার উদ্ভব, তা নির্ধারণ করা কঠিন। তবে এই ভাষাভাষী সম্প্রদায়ের বর্ষীয়ান ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা যায়, তারা তাদের আদিপুরুষের জন্মভিটায় যখন ছিলেন, তখন এ ভাষায়ই কথা বলতেন। বলা বাহুল্য, এ দেশের বেশিরভাগ ডোম বিহারের সরন (ছাপরা), পাটনা, মুঙ্গের, দ্বারভাঙ্গা থেকেই বাংলাদেশে এসেছে। এসব জেলা বিহারের ভোজপুর জেলার আশপাশে অবস্থিত, যেখানে ভোজপুরি ভাষা বহুল ব্যবহৃত হয়। ভোজপুরি ভাষা মূলত বিহারের পশ্চিমাংশে এবং উত্তর প্রদেশের পূর্বাংশে প্রচলিত। কাজেই বাংলাদেশের ডোমদের পূর্বপুরুষের আদিনিবাস বিহারের এসব জেলায় হয়ে থাকলে তাদের ভাষায় ভোজপুরির প্রভাব থাকাই স্বাভাবিক। আমরাও ক্ষেত্র সমীক্ষায় দেখেছি, প্রায় ২৫০টি ডোমাই শব্দের মধ্যে ৫০টি নিখাদ ভোজপুরি থেকে এসেছে। ভোজপুরি অভিধান না থাকায় এই প্রামাণ্যকরণের ক্ষেত্রে সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। কেননা গবেষকরা ভোজপুরি ভাষার চারটি প্রধান উপভাষা চিহ্নিত করেছেন, যা পারস্পরিকভাবে বোধগম্য। এর মধ্যে আছে : উত্তরীয় শাখা, পশ্চিমা শাখা, দক্ষিণী শাখা ও নাগপুরিয়া। কাজেই বাংলাদেশে ডোমাই ভাষায় ভোজপুরির কোন শাখাটি বিস্তার লাভ করেছে তা-ও গবেষণাসাপেক্ষ।

ভোজপুরিকেও স্থানীয়রা দেশওয়ালি ভাষা বলে। ডোমাই ভাষাকেও এ দেশের ডোমেরা দেশওয়ালি ভাষা বলে। তা ছাড়া ডোমাই ভাষার গঠনপ্রকৃতিও ভোজপুরির মতোই। গবেষকরা ভোজপুরি ভাষাকে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের প্রাচ্যের পশ্চিম শাখার সদস্য বলে অভিহিত করেন। এ শাখার অন্য দুই সদস্য মগহি ও মৈথিলি। আর প্রাচ্যের পূর্বী শাখা থেকে এসেছে বাংলা, অসমিয়া ও ওড়িয়া। কাজেই একই ভাষাবংশে জন্ম হওয়ায় ভোজপুরির সঙ্গে বাংলার সাদৃশ্যও কম নয়। অন্যদিকে ডোমাই ভাষার সঙ্গেও সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। এই সাদরি ভাষাও ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের মধ্যদেশিয়ার কৌশলী শাখার সদস্য। আর মধ্যদেশিয়ার খড়িবোলী থেকে এসেছে হিন্দি আর উর্দু। কাজেই বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ভোজপুরির সঙ্গে যেমন হিন্দির সাদৃশ্য পাওয়া যাবে, তেমনি সাদৃশ্য পাওয়া সম্ভব সাদরির সঙ্গেও।

ভাষাতাত্ত্বিক এ সাদৃশ্য থাকা সত্ত্বেও ভোজপুরি, হিন্দি ও সাদরি প্রভৃতি ভাষা যেমন স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে, তেমনি ডোমাই ভাষাও হয়তো ভোজপুরি বা সাদরির উপভাষা হিসেবে বাংলাদেশে পৃথক ভাষার মর্যাদা পাওয়ার দাবিদার হতে পারে। যেভাবে প্রাকৃত ভাষা থেকে অপভ্রংশ হয়ে নব্য ভারতীয় ভাষার সৃষ্টি হয়েছে, তেমনিভাবেই হয়তো ভোজপুরি থেকে আজকের ডোমাই ভাষার উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে। তবে ভোজপুরি ভাষার চারটি উপভাষা : উত্তরিয়া, দক্ষিণী, পশ্চিমা ও নাগপুরিয়ার সঙ্গে ডোমাই ভাষার মিল বা ঘনিষ্ঠতা গবেষণার বিষয়। ক্ষেত্র সমীক্ষায় দেখা গেছে, ডোম ও বাঁশফোরদের ব্যবহৃত ডোমাই ভাষার সঙ্গে হিন্দি কিংবা ভোজপুরি ভাষার প্রাধান্য বেশি। তা সত্ত্বেও ডোমাই ভাষা ডোম ও বাঁশফোর সম্প্রদায়ের সবাই ভাষা বোঝে।

বাঁশফোর সম্প্রদায়ের মধ্যে অপেক্ষাকৃত শিক্ষিত সদস্যরা নিজেদের মাতৃভাষাকে ডোমাই ভাষা বলে অভিহিত করতে পছন্দ করেন না। তারা একে ভোজপুরি বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে বাঁশফোর সম্প্রদায়ের মধ্যে উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি হচ্ছেন পান্নালাল বাঁশফোর। তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাষাকে ডোমাই ভাষাও বলে। তবে বেশিরভাগ নিরক্ষর বয়স্ক মানুষ একে দেশওয়ালি ভাষা বলেন।’ একই কথা বলেন রাজালাল ডোম। তারা জানান, শিক্ষিত হওয়ার কারণে মানুষ জাতে উঠতে চেষ্টা করে। আর তাই তারা নিজেদের ভাষার সঙ্গে ডোম নামক অচ্ছুত একটি শব্দ জড়াতে চায় না। এ কারণেই অনেকে এ ভাষাকে ডোমাই বলে পরিচয় দিতে চায় না। ডোমাই ভাষাভাষীর কেউ এ ভাষায় সাহিত্য রচনা না করলেও রুদ্র সাইফুল ‘সূর্যাই ডোম ও রাম্ভা আখ্যান’ উপন্যাসে ডোমাই ভাষা ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোমাই ভাষায় একটি মঞ্চনাটক অভিনীত হয়েছিল যার স্ক্রিপ্টটি ডোমাই ভাষায় অনুবাদ করে দিয়েছিলেন রাজালাল ডোম। ডোমাই ভাষার কোনো লিপি বা বর্ণমালা না থাকায় বাংলাতেই এ সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছে।

এ কথা ঠিক, ডোমাই ভাষার সঙ্গে ভোজপুরি, হিন্দি কিংবা সাদরির কিছু মিল থাকলেও বর্তমানে এটি একটি পৃথক ভাষা হিসেবেই মর্যাদা দাবি করতে পারে। আধিপত্যবাদী হিন্দির প্রভাবে ভারতে যেমন সাদরি হিন্দি প্রভাবিত, তেমনি বাংলাদেশে বাংলা ভাষার প্রভাবে ডোমাই ভাষা তার নিজের গতিপথ হয়তো অনেকখানি বদলে ফেলেছে। এই বদলের কারণে একটি ভাষা অন্য একটি ভাষা পরিবার থেকে বের হয়ে এসে নতুন একটি ভাষা পরিবারের সদস্য হয়ে যেতে পারে, ডোমাই ভাষার ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা অস্বীকার করা যায় না।

লেখক : গবেষক 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা